মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বোমা উদ্ধারে জেলায় জেলায় পুলিশের তত্পরতা। তার মধ্যেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জে যুব তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি। অভিযোগ, গতকাল রাতে চিলাখানা ২ নম্বর অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব রায়ের বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে ঘরবন্দি ছিল যুব তৃণমূল নেতার পরিবার। সকালে বাড়ির সামনে বোমার টুকরো, সুতলি পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে। ডাম্পারে মাটি নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় গন্ডগোল চলছে। তার জেরেই বোমাবাজি বলে যুব তৃণমূল নেতার আশঙ্কা।
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় বোমা, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশি তত্পরতা চোখে পড়ল এদিন। বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৬০টি তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সকালে ছোট ডাঙাল গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। গ্রামের সেচ খালের ধারে ৬টি জার উদ্ধার হয়। জারের মধ্যে মেলে তাজা বোমা। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: ‘বিজেপি-র দুই ভাই, ইডি আর সিবিআই’, বগটুইকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকে কটাক্ষ কুণালের
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও উদ্ধার বোমা। আজ ভোরে ধলহারা বরডাঙা এলাকায় ফাঁকা জমি থেকে শ’ খানেক বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলাজুড়ে লাগাতার অভিযান চলবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরেও উদ্ধার তাজা বোমা। আজ সকালে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমানপুর এলাকায় বাঁশবাগানের মধ্যে ২ বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। মোট ১৪টি বোমা মেলে। পরে গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়ে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরেও পুলিশি অভিযান। গতকাল রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের মাঠ থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি কার্তুজ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।