সুনীত হালদার, হাওড়া: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে (houswife unnatural death) চাঞ্চল্য হাওড়ার (howrah) জয়পুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী এক যুবক (youth forced to suicide) রীতিমতো চাপ দিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। বিষয়টি নিয়ে নিত্য পারিবারিক অশান্তি (family chaos) লেগে থাকত। কিন্তু পরিস্থিতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা আঁচ করতে পারেননি মৃতার স্বামী।
কী ঘটেছিল?
ঘটনার জেরে সন্দেহের তির পীযূষ হাজরা ওরফে গনেশ নামে এক স্থানীয় যুবকের দিকে। মৃতার পরিবারের দাবি, রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করে সে ওই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক রাখত। এমনকি, তাঁর স্বামীকেও হুমকি দিত বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তুঙ্গে ওঠে অশান্তি। পরিবারের দাবি, মানসিক অশান্তির জেরেই গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। এর পরই তেতে ওঠে গোটা এলাকা। ময়নাতদন্তের পর এলাকায় দেহ এলে সন্দেহভাজন পীযূষের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় দেহ রেখে অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। জয়পুর বাগনান রাজ্য সড়কের জাটি পুকুরের কাছে দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জয়পুর থানার পুলিশ। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় ও মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গৃহবধূকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। অভিযুক্ত যুবককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবিতে সরব হন মৃতার প্রতিবেশীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়পুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত আপাতত পলাতক।
অতীতেও এক ঘটনা...
গত অক্টোবরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে এক প্রতিবেশীকে বাড়িতে ডেকে এনে গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা। স্ত্রীর সামনেই তাঁর ‘প্রেমিক’কে গলা কেটে ‘খুনে’র অভিযোগ ওঠে। তার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী। এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানা এলাকার জিনারা গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতের নাম ফিরদৌস শেখ। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশী ফিরদৌসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল আখতারুল শেখের।অভিযোগ, এই অবস্থায় বুধবার স্ত্রীকে দিয়ে ফোন করিয়ে ফিরদৌসকে ডেকে পাঠান আখতারুল। তার পর গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করেন। অভিযুক্তের স্ত্রী সনিয়া বিবি বলেন, "বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল...খোঁজ পাচ্ছিলাম না...পরে শুনলাম মেরে দিয়েছে।"