কলকাতা: নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) রুখতে আজ পুলিশি ব্য়বস্থা ছিল কার্যত নজিরবিহীন। কোথাও পথ আটকাতে আস্ত কন্টেনার, কোথাও রোবো কপ, কোথাও সাত ফুটের লম্বা ব্যারিকেড, কোথাও আবার ব্যারিকেডে ঝালাই করে আটকে দেওয়া হয় লোহার পাত। এককথায়, একেবারে যুদ্ধপ্রস্তুতি। আর এসব দেখে আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলছেন, ১৪ অগাস্ট রাতে, আর জি কর হাসপাতালে যখন হামলা হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল পুলিশের এই তৎপরতা?
পুলিশের ভিন্ন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: প্রাক স্বাধীনতার রাতে যেদিন রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন মহিলারা। প্রতিবাদ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই, আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে তাণ্ডব (R G Kar Chaos) শুরু হয়। অবাধে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের আটকানো দূরে থাক, দুষকৃতীদের থেকে বাঁচতে প্রথমে পুলিশকেই কার্যত লুকিয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। আর এই দ্বিতীয় ছবিটা মঙ্গলবার দুপুরের। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর নবান্ন অভিযানের। যা মোকাবিলায় কোনও কসুর করল না পুলিশ। এদিন এক আন্দোলনকারী বলেন, "পুলিশ যেভাবে লাঠিচার্জ করছে এই পুলিশ আরজি করে পারে না, এই পুলিশ আজকে মহিলাদের উপর লাঠিচার্জ করছে।'' আরেক আন্দোলনকারী বলেন, "যে রাতে আর জি কর ভাঙছিল, এই নির্লজ্জ পুলিশ কোথায় ছিল? ১৪ তারিখ রাতে যখন প্রমাণ লোপাট হচ্ছিল, এই পুলিশ কোথায় ছিল?''
কলকাতা থেকে হাওড়া। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গঙ্গার দুই পাড়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধল আন্দোলনকারীদের। ভাঙল ব্য়ারিকেড। জলকামান, কাঁদানে গ্য়াস, লাঠিচার্জ করেও, নবান্নমুখী বিক্ষোভকারীদের আটকাতে হিমশিম খেল পুলিশ। কাল ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর মঙ্গলবার পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "পুলিশ সমস্ত রকম আক্রমণের মুখে পড়েও, পুলিশ রক্তাক্ত হয়েও গোটা পুলিশ বাহিনী অফিসার থেকে পুলিশের যে কোনও কর্মী তারা সংযমের পরিচয় দিয়েছে। সিপিএমের জামানা হলে, ১৯৯৩ সাল ২১ জুলাই ১৪ জন মৃত পুলিশের গুলিতে, বিনা প্ররোচনায়। আর আজকে সমস্ত প্ররোচনায় পুলিশ গায়ে রক্ত মেখেছে।পুলিশ কিন্তু গুলি চালায়নি।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।