নয়াদিল্লি: টিকাকরণের দুনিয়ায় এবংর কার্যতই বিপ্লব ঘটতে চলেছে। নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নয়া টিকা, COVID-19 mucosal Vaccine বাজারে আসছে।  সূচ ফোটানো হয় বলে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে টিকা নিতে আপত্তি যাঁদের, তাঁদের জন্য আদর্শ এই টিকা। কারণ এই টিকা নিতে সূচ ফোটানো যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না। (Needle Free COVID Vaccine)


সূচবিহীন এই কোভিড টিকার আবিষ্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। Nature Communications জার্নালে নিজেদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছেন তাঁরা। গবেষণাপত্রে সূচবিহীন কোভিড টিকা নাকের ছিদ্রপথ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছেন তাঁরা। তুলে ধরেছেন এই টিকার কার্যকারিতাও। গত চার বছর ধরে চলা এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক সুরেশ মহালিঙ্গম। (Covid-19 Mucosal Vaccine)


নাকের ছিদ্রপথ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করানো এই কোভিড টিকার নাম রপাখা হয়েছে CDO-7N-1. এই টিকার একটি মাত্র ডোজই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক বলে জানানো হয়েছে। এক বছর এবং তার বেশি সময়ের জন্য এই টিকা কোভিডের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে বলে দাবি গবেষকদের। এর স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই বলে দাবি করেছেন তাঁরা। 


সম্পূর্ণ রিপোর্ট পড়ুন এই লিঙ্কে ক্লিক করে- https://tinyurl.com/ystjfuswhttps://www.nature.com/articles/s41467-024-51535-y


সাধারণ টিকার ক্ষেত্রে একটি মাত্র অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হলেও, এই টিকার  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গোটা ভাইরাসকে। তাই একটি ডোজই যথেষ্ট বলে মত গবেষকদের। কোভিডের সব রূপের বিরুদ্ধেই এই টিকা কার্যকর, SARS-CoV-1-কে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম এই টিকা, দাবি গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক শিয়াং লু। তাঁর দাবি, এই টিকা নিলে সংক্রমণ ছড়ায়ও না, রোগ ফিরে আসে না, আবার ভাইরাস চরিত্র বদল করে নয়া রূপও ধারণ করে না। এই টিকা SARS-CoV-2 ভাইরাসের সব প্রোটিন ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।


এখনও পর্যন্ত যত রূপ পোরিয়েছে কোভিড টিকার, সবক'টির বিরুদ্ধে কার্যকর। ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, সাত মাসের জন্য মজুত রাখা যেতে পারে এই টিকা। নিম্ন এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে এই টিকা সহজলভ্য হতে পারে বলেও দাবি গবেষকদের। এতদিন কোভিডের যত রূপের আবির্ভাব ঘটেছে এবং আগামীতেও যদি চরিত্র বদল করে অন্য রূপ ধারণ করে কোভিড, সেক্ষেত্রেও এই টিকা কার্যকর বলে দাবি গবেষকদের।


আরও পড়ুন: Paracetamol Usage: বেশি ব্যবহারে লিভার ফেলিওর, প্যারাসিটামল কখন এবং কয়টি খাওয়া উচিত, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?