সুমন ঘড়াই, হাওড়া: কর্মচারীদের খোঁজ খবর নিতে হঠাৎ বিভিন্ন দফতর পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। আজ নবান্নে এসে প্রথমে ৬ তলায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে দেখেন কর্মীরা এসেছেন কিনা, কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। কোনও টেবিলে ফাইল জমা থাকলে, জিজ্ঞেস করেন, ফাইল জমে আছে কেন? এরপর সেখান থেকে ১২ তলায় অর্থ দফতরে যান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেখানেও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে ১৪ তলায় নিজের ঘরে চলে যান।
বিভিন্ন দফতর পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী: অতিমারিতে সচেতনতা তৈরি করতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন বাজারে। খড়ি দিয়ে বৃত্ত এঁকে বুঝিয়েছিলেন সামাজিক দূরত্ব বিধি। এবার নবান্নেই সারপ্রাইজ ভিজিটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নে ঢুকে সটান ৬ তলায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চলে যান তিনি। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কর্মীদের উপস্থিতি কত তাও দেখেন। টেবিলে কেন ফাইল রয়েছে তা নিয়েও জিজ্ঞেস করেন মুখ্যমন্ত্রী (Nabanna)। এরপর সেখান থেকে চলে যান ১২ তলায় অর্থ দফতরে। সেখানেও কথা বলেন কর্মচারীদের সঙ্গে।
এর আগে চলতি বছর মার্চ মাসেই বিভিন্ন দফতরে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৫ মার্চ নবান্নে শিল্পপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই উপলক্ষে নবান্নে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা বেজে ০৫ মিনিট। কিন্তু রোজকার মতো ১৪ তলায় না গিয়ে, এ দিন লিফট থেকে হঠাৎ চারতলায় নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। ভিতরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, তখনও সিংহভাগ কর্মী অনুপস্থিতি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রশ্ন করেন, "এত বেলা হয়েছে। এখনও আসেনি কেন? এরা কোথায়?" তাতে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্মী বলেন, এখন তো ১২.১০। সবাই এখনও এসে পৌঁছয়নি। এর পরই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকা এক অফিসারকে নির্দেশ দেন, "যাঁরা এখনও আসেননি, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করুন।" অন্য এক অফিসারকে ফাঁকা টেবিল চেয়ারগুলির ছবি তুলতে বলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, এ দিন মিনিট ছয়েক চার তলার স্বরাষ্ট্র দফতরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর লিফটে ১৪ তলায় নিজের চেম্বারে চলে যান। ঠিক তার পরের দিন হাজির হয়েছিলেন অর্থ দফতরে। অর্থ দফতরে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান তিনি। যদিও সেই সময় কর্মী সংখ্যা যথেষ্ট ছিল বলেই সূত্রের খবর। দফতরে ঢুকে কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Causes of Sweating: গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?