সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার (Nadia) চাকদা( Chakdaha)য় বিজেপিতে ভাঙন। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি-সহ প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূল থেকে আসা নেতা-কর্মীরাই সে দলে ফিরে গেছেন।


ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে (BJP)।এবার নদিয়ার চাকদায়। একশো, দুশো নয়...প্রায় দেড়হাজার নেতা, কর্মী ও সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করছে তৃণমূল (TMC)।দক্ষিণ রানাঘাট (Ranaghat) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রত্না ঘোষ করের উপস্থিতিতে, দলবদল করেন তাঁরা।


রত্না ঘোষ কর  বলেছেন, আমাদের দলের অনেকেই ভুল বুঝে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। এমন কিছু কর্মীসহ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করা নেতৃত্ব ও কর্মী মিলে মোট ১,৪৭২ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে যোগদান কর্মসূচিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করবেন।


তৃণমূলে যোগদান করেছেন, বিজেপির চাকদা শহর মণ্ডলের সম্পাদকও। তৃণমূলে যোগদানকারী চাকদার বিজেপি নেতা কল্যাণ দাস বলেছেন, বিজেপির টিকিট বন্টন থেকে অনেক কাজই সঠিক হয়নি। এছাড়া বিজেপির কাজকর্ম ভালো লাগেনি বলেই দল ত্যাগ করলাম।


 এলাকায় দেখাই যায় না ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ককে, অভিযোগে সরব এলাকাবাসী


যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূল থেকে আসা নেতা-কর্মীরাই সে দলে ফিরে গেছেন। চাকদার বিজেপি বিধায়ক  (Chakdaha BJP MLA) বঙ্কিম ঘোষ (Bankim Ghosh) বলেছেন, ঝাঁকের কৈ ঝাঁকেই ফিরে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এছাড়া এদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের দলে যোগদান অনুষ্ঠানে চাকদার হাতে গোনা কয়েকজনই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে। কিন্তু ওরা সংখ্যাটা অনেক বাড়িয়ে বলছে।


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হাত থেকে রানাঘাট ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। চলতি বছরে ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাকদা বিধানসভা কেন্দ্রেও ফুটেছে পদ্ম। সেখানেই এবার ধস নামল গেরুয়া শিবিরে।