রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভোটের চার মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়ে গিয়েছে! ময়নাগুড়ির বিধায়ককে এলাকায় দেখাই যায় না, বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর একাংশ। বিজেপি বিধায়কের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের উস্কানিতে এধরনের মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল।


ময়নাগুড়ির বাসিন্দা গোপাল বসাক জানিয়েছেন, ' কোথায় বিধায়ক, কোনওদিন এলাকায় তাঁকে দেখতে পায়নি, বিধায়ক নিখোঁজ, মিসিং ডায়েরি করতে হবে, সাধারণ মানুষ পস্তাচ্ছে, বিধায়কহীন অবস্থায় আছে ময়নাগুড়ি। শেষ বিধানসভা ভোটে এবার জলপাইগুড়ি জেলায় সাতটি আসনের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে তৃণমূল। 


এই প্রথম ময়নাগুড়ি আসনটি দখল করেছে বিজেপি। প্রায় ১২ হাজার ভোটে জেতেন কৌশিক রায়। ভোট মেটার কয়েক মাসের মধ্যেই বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে, এমনই ক্ষোভের সুর ময়নাগুড়ির বাসিন্দাদের একাংশের গলায়। বিধায়ককে না পাওয়ার অভিযোগে, কেউ কেউ আবার থানায় মিসিং ডায়েরি করতে চলেছেন।


ময়নাগুড়ির আরও এক বাসিন্দা হিরণ্য রায়ের কথায়,  বিধায়ক বলছে হবে, কবে হবে, আপনাকে বিধায়ক বানালাম। কিন্তু কোথায় সে, ভোট দিয়েছি, ভোট দেওয়ার পর সে নাই, ভোট দিয়ে চরম ভুল করেছি। 


বিধায়ক হিসেবে তাঁর ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী সরব হলেও, যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়কের দাবি, কোভিড পরিস্থিতিতে, তিনি মানুষের পাশে ছিলেন। তৃণমূলের উস্কানিতেই, কেউ কেউ এমন অভিযোগ করছেন। 


ময়নাগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি মনোজ রায় জানিয়েছেন, ময়নাগুড়িতে বিধায়কের কোনও কার্যালয় নেই, মানুষ সঠিক প্রশ্নই করছেন, বিজেপি নিজেরা কিছু করতে পারছে না। চলতি সপ্তাহে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে, তিন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবার গেরুয়া শিবিরের এক বিধায়ককে নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ময়নাগুড়িতে। 


আরও পড়ুন: Nadia: চাকদায় বিজেপিতে ভাঙন, ‘দেড় হাজার’ নেতা-কর্মী সামিল তৃণমূলে, ঝাঁকের কৈ ঝাঁকে, কটাক্ষ বঙ্কিমের


আরও পড়ুন: Darjeeling: উত্তরবঙ্গে একটানা বৃষ্টির জের, ফের ধস কালিম্পঙে