কলকাতা: নদিয়ায়  (Nadia) মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল ১৭ জনের। আহত আরও বেশ কয়েকজন। জানা গেছে, নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি শববাহী গাড়ি। পাথর বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারায় ৬ মহিলা, এক শিশু-সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।


নদিয়ার হাঁসখালির এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও শুভেন্দু অধিকারী।  মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, নদিয়ার দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত। মৃতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।...পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। দুঃখজনক পরিস্থিতিতে আমরা আপনাদের পাশে আছি। 



এদিকে, শোকজ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে রাজ্যপাল ট্যুইটে লেখেন, মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পথ নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা দরকার। 



স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পারমদনপুর এলাকার এক বৃদ্ধার মৃতদেহ সত্কার করতে লরিতে করে নবদ্বীপের শ্মশানে যাচ্ছিলেন আত্মীয়-পরিজনেরা। রাত দেড়টা নাগাদ ফুলবাড়ির কাছে হাঁসখালি-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে শববাহী গাড়ি। ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও কয়েকজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। আহতরা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। ঘন কুয়াশা ছিল, চালকেরও ভুল থাকতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের।


নদিয়ার ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ ট্যুইটে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় পথ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি সমবেদনা রইল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঈশ্বর ওঁদের সহায় হোন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।



হাঁসখালি দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেও আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত পরিবহণমন্ত্রী। প্রশ্ন হল, কত দুর্ঘটনা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুম ভাঙাবে? কত দুর্ঘটনা হলে তিনি বুঝবেন যে জেলার পরিবহণ দফতরে কর্মীর সংখ্যা কম, কাজ চালাচ্ছে প্রশিক্ষণহীন সিভিক পুলিশ। যাদের প্রথম কাজ, রাস্তায় গাড়ি থেকে টাকা তোলা।