নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) যে চরিত্র বদলে অন্য স্ট্রেন তৈরি করেছে সে খবর প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO) জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। সে দেশে করোনার নতুন প্রজাতি 'ওমিক্রন' (Omicron) ধরা পড়তেই সাবধান করেছিল বিশ্বকে। কিন্তু এর পরিবর্তে সে দেশকে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন স্ট্রেন সম্পর্কে WHO-কে সতর্ক করার পরপরই, অনেক দেশ ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ থেকে ফ্লাইটে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন শিল্প এবং ব্যবসার ক্ষতি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, "উন্নত জিনোমিক সিকোয়েন্সিং এবং দ্রুত নতুন রূপগুলি শনাক্ত করার ক্ষমতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে শাস্তি দেওয়ার সমান এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য প্রশংসা প্রাপ্য ছিল।" তবে অন্য বেশ কয়েকটি দেশেও ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের প্রজাতিটি পাওয়া গিয়েছে। সে প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সে দেশের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র নেই।
আরও পড়ুন, ওমিক্রন আটকাতে কঠোর কেন্দ্র, পর্যটকদের জন্য এবার জারি নয়া নিয়ম
তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি দেশের আর্থিকভাবে যে ক্ষতির কারণ হতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ক্রমে ক্রমেই 'ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন' ওমিক্রন চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বিশ্বের। একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। সেই আবহে দেশে এই প্রজাতির সংক্রমণ রুখতে বিদেশি যাত্রীদের জন্য নয়া নিয়ম আনল সরকার।
ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে উড়ান পরিষেবা বন্ধ করেছে। ওমিক্রন-আতঙ্ক আমেরিকাতেও। করোনার নতুন প্রজাতির আক্রমণের আশঙ্কায় ৩ ডিসেম্বর থেকে নিউ ইয়র্কে জারি হতে চলেছে জরুরি অবস্থা। বেশ কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য RT-PCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে।