সুজিত মণ্ডল, গয়েশপুর: বকেরা পুরভোট নিয়ে বিজেপির প্রস্তুতি বৈঠকের মধ্যেই তুলকালাম। বিজেপি পার্টি অফিস ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের। ভাঙা হল বিজেপি নেতার গাড়ির কাচ। একাধিক বাইকেও ভাঙচুর চলে। প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ বিজেপির। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পদ্ম শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের। এই ছবি নদিয়ার গয়েশপুরের গোলবাজার এলাকার। গতকাল যা নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হল পুলিশকে।
আসন্ন পুরভোটকে কেন্দ্র করে গতকাল নদিয়ায় প্রস্তুতি বৈঠক করতে আসেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হতেই পার্টি অফিসে ঘিরে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর চলে বিজেপি নেতার গাড়ি-সহ একাধিক বাইকে। এই ঘটনায় বিজেপির তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও, পার্টি অফিস থেকে বের হতে পারেননি বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর আসরে নামে বিজেপি। কল্যাণী থানায় শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতির তরজা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, ‘তৃণমূলের কাজ এটা। বিজেপিকে আটকানোর জন্য যতরকম পদ্ধতি নেওয়া যায় সবই নিচ্ছে।’
পাল্টা গয়েশপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৌশিক ঘোষের দাবি, ‘আমাদের দলের কর্মীরা খুন হয়েছেন। তার মধ্যেই বাইরে থেকে কয়েকজন এসে এক জায়গায় জমায়েত হয়েছেন। সেই কারণেই কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই জন্য বিক্ষোভ। নিজেরাই গাড়ি ভেঙে আমাদের দোষ দিচ্ছে।’
করোনা আবহে রাজ্যের চারটি কর্পোরেশনে ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। বাকি যে পুরসভাগুলির মেয়াদ ইতিমধ্যেই ফুরিয়ে গিয়েছে, সেখানেও ভোট হওয়ার কথা। তবে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে এই ভোট কবে হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও, রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।