সুজিত মন্ডল, নদিয়া: নিম্মমানের খাদ্য সামগ্রী ও খাবারে পোকার অভিযোগ উঠল এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর ওই সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবকদের একাংশ।                     


ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার নাকাশিপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপল্লি এলাকায়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ওই সেন্টারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে ঘরে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ এসে দিদিমণিকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। যদিও অঙ্গনওয়াড়ির সেন্টারের দিদিমনির দাবি ওটা পোকা নয় খাবারে দেওয়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ওষুধ। 


আরও পড়ুন, ‘স্বচ্ছতার স্বার্থে ওএমআর শিটের দুটো কপি থাকবে’, এবছর পরীক্ষায় নতুন কী কী থাকছে জানাল পর্ষদ?


এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা যাচাই করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন এক মহিলা সরকারি কর্মী। অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার, বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা যাচাইয়ের কাজে যান এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সেই সময় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ!! শনিবার এই ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করে পরপর ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।                                                                                                                      


পুলিশ সূত্রে খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ওই মহিলা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ইস্যুতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।


অন্যদিকে, হাসপাতালের শিশু বিভাগে খাবারে মরা কেঁচো ! সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এহেন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছিল অনেকে, এমনই অভিযোগ জানিয়েছে শিশুর পরিবার। ‘অস্বাস্থ্যকর’ খাবার নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ শিশুর পরিবারের। এদিকে এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। 


 ৯ মাসের অসুস্থ শিশুপুত্রকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা দীপক রায়। হাসপাতালে শিশুর সঙ্গে ছিলেন মা। কিন্তু, অভিযোগ, হাসপাতালের দেওয়া রাতের খাবারে মেলে মরা কেঁচো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় শিশুর পরিবার।