সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: তান্ত্রিকের (Tantrik) কথা শুনতে গিয়ে ওই তান্ত্রিকের হাতেই প্রাণ হারাতে বসেছিলেন এই ব্যক্তি। মাটির নিচে কলসিতে রয়েছে সোনা (Gold), আর তান্ত্রিকের কথায় অমাবস্যার রাতে উঠবে সেই কলসি, একথা শুনে সেই কাজটি করতে গিয়েই বিপদ ডেকে এনেছিলেন অমর চক্রবর্তী। কলসির বদলে জুটলো ধারালো অস্ত্রের কোপ, কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচলো ওই ব্যক্তির। এই ঘটনায় যদিও গ্রেফতার হয়েছেন ওই তান্ত্রিক নারায়ণ সরকার।                                                                           

নদিয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর জয়পুরের ঘটনা। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম অমর চক্রবর্তী (৪০)। অভিযোগ, বসত বাড়ি ও চাষের জমির নিচে সোনা ভর্তি কলসি রয়েছে এমনটাই দাবী করেন তান্ত্রিক নারায়ণ সরকার। আর সেই প্রলোভনে পড়েন অমর চক্রবর্তী। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত একবছর ধরে দফায় দফায় অমর বাবুর কাছ থেকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নেন ওই তান্ত্রিক।  পাশাপাশি ৩টি ছাগল নেন নানান কথা শুনিয়ে।                                                                                                                         

আরও পড়ুন, তৃণমূল তো ৫০০ দিচ্ছে, বিজেপি এলে ২০০০ টাকা দেবে, 'কথা দিলেন' সুকান্ত

সেই অনুযায়ী অমাবস্যার রাতে সেই কলসি পাওয়া যাবে বলে জানান তান্ত্রিক নারায়ণ সরকার। গত ২৩ তারিখ বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি নির্জন জায়গায় পুকুরের ধারে নিয়ে যান অমর চক্রবর্তীকে। সেখানেই নতুন গামছা পরে পুকুরে স্নান করতে নামতে বলেন অমর বাবুকে। অভিযোগ, সেই সময় পিছন থেকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে তান্ত্রিক। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে কোনও রকম ভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে পরিবারকে সব জানান।                                                   

এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বীরনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাণাঘাট আনুলিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় অমর চক্রবর্তীকে। তার শরীরে একাধিক জায়গায় কোপানো হয় এবং ৬০টি সেলাই পড়ে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।