বিজেন্দ্র সিংহ ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হাঁসখালি: নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকার দেহ (Minor Body) পুড়িয়ে দিল কারা? উত্তর পেতে মরিয়া সিবিআই (CBI)। কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতিতার গোটা পরিবারের বয়ান রেকর্ড করলেন গোয়েন্দারা। এদিকে গতকালই এই কাণ্ডে জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট দিল বিজেপির (BJP) তথ্য অনুসন্ধান কমিটি।
মৃত্যু কি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে? হাঁসখালির (Hanskhali) নির্যাতিতার মৃত্যু কি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে? না তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার পর, ফের এই সন্দেহ প্রকাশ করল দলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। রামপুরহাটের হত্যাকাণ্ডের পর হাঁসখালিতে নাবালিকার গণধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছেন জে পি নাড্ডা। ১৫ এপ্রিল হাঁসখালিতে যান কমিটির সদস্যরা।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি: সেদিনই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য এবং এরাজ্যের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী প্রথম প্রশ্ন তোলেন, যে নির্যাতিতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়নি তো? ৫ দিন পর, দিল্লিতে সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর, ফের সেই সন্দেহ প্রকাশ করলেন তিনি।
তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ও বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর কথায়, আমরা একটা প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছি। আরেকটা কমপ্রিহেনসিভ রিপোর্ট দেব। সংগঠিতভাবে সব তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটা ষড়যন্ত্রের শিকার হল, কে নিয়ে গেল, কোথায় নিলে গেল, সত্যিই ব্লিড করে মারা গেল না জ্যন্ত পুড়িয়ে মেরে দিল সেটা খুব চিন্তার।
পাল্টা জবাব তৃণমূলের: বিজেপি বিধায়কের মুখে ৩৫৫, ৩৫৬ ধারার প্রসঙ্গ, পাল্টা জবাব তৃণমূলের। এরপর হাঁসখালি নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরও দ্বারস্থ হতে পারে বিজেপি।
অন্যদিকে হাঁসখালিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে CBI। DNA পরীক্ষার জন্য ধৃতদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলের আশেপাশে একাধিক বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন CBI অফিসাররা।
বুধবার বাবা, মা জেঠু-সহ নির্যাতিতার গোটা পরিবারকে কৃষ্ণনগরে ক্যাম্পে নিয়ে যায় সিবিআই। ঘটনার দিনে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে প্রত্যেকের বয়ান আলাদাভাবে রেকর্ড করেন গোয়েন্দারা।