আমদাবাদ: মধ্যরাতে গুজরাতে গ্রেফতার দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি (Jignesh Mevani)। এসম পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সমালোচনায় একাধিক টুইট করেছিলেন জিগনেশ। সেই নিয়ে অসমের এক বাসিন্দা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন বিরোধীরা। কারণ দলিত নেতা জিগনেশ কয়েক মাস আগেই কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছেন। আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে(Gujarat Assembly Election) কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্ব তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। দলিত নেতা হিসেবে রাজ্যে বেশ জনপ্রিয়ও জিগনেশ। তাতেই রাতবিরেতে পুলিশ নামিয়ে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার জিগনেশ
গুজরাতের বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগনেশ রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার যে দিন কংগ্রেসে যোগ দেন, সে দিন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে সমর্থন জানান জিগনেশও। তাঁর অনুগামীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পালানপুর সর্কিট হাউস থেকে জিগনেশকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। গ্রেফতারির সময় পুলিশ এফআইআর-এর কোনও প্রতিলিপি দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ। তা নিয়ে কংগ্রেস নেতা-সমর্থকরা চেপে ধরলে সাম্প্রতিক টুইটের জেরে জিগনেশের বিরুদ্ধে মামলার বথি দেখায় তারা। এর পর রাতেই জিগনেশকে আমদাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপিয়ে অসমের গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। এ ভাবে জিগনেশকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সংবিধান রক্ষার ধ্বনি তুলে দিল্লিতে বৃহস্পতিবার সেই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা।
উৎসবের মরসুমে অতি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। তা নিয়ে বেছে বেছে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিশানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমন একের পর এক ঘটনা উঠে এলেও, গোটা পর্বে মোদির নীরবতা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন জিগনেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তির পক্ষে গডসে ভক্ত মোদির বার্তা দেওয়া উচিত বলে টুইটারে লেখেন তিনি।
একাধিক ধারায় মামলা জিগনেশের বিরুদ্ধে
অসমের কোকরাঝরের ভবানীপুরের বাসিন্দা, জনৈক অনুপকুমার দে-র অভিযোগের ভিত্তিতে জিগনেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১৫৩-এ (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন জোগানো), ২৯৫-এ (ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানা), ৫০৪ (শান্তিভঙ্গের লক্ষ্যে উস্কানিমূলক মন্তব্য) ৫০৬ (অপরাধমূলক ভাবে ভয় দেখানো) ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।