সুজিত মণ্ডল, কল্যাণী: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের (Kalyani Expressway) ধারে সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ। আর তাতে মদত দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। অভিযোগ তুললেন বিজেপি বিধায়ক। সেই নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিল। অভিযোগ করলেই হবে না, প্রমাণ দেখাতে হবে বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি (Land Encroachment)। 


নদিয়া (Nadia News) জেলার কল্যাণী পৌরসভা অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা (Nadia News)। যে সরকারি জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ, সেটি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অবস্থিত। সেখানে সরকাররি জমির উপর বেশ কিছু ঘর তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়েই সরগরম স্থানীয় রাজনীতি। তৃণমূলকে তীূব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে জোড়াফুল শিবিরও। 


বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় সরাসরি কল্যাণী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস হালদারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, দেবাশিসের মদতেই সরকারি জমি কব্জা করছেন কিছু লোকজন। গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি উচ্চস্তরে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: হবিবপুরে শুভেন্দুর সভার অনুমতি বাতিল, আজই আদালতে যাচ্ছে BJP


সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অম্বিকা বলেন, "কল্যাণী পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং শাসক শ্রেণির মদতেই সরকারি জায়গা গ্রাস করা হচ্ছে। পুলিশ সুপারের অফিসের কাছেই এই জমি। তাঁদের চোখে কি পড়ছে না? প্রশাসন সব জানে। তাও আবার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে দরবার করব আমি।" অম্বিকার দাবি, সরকারি জমিতে রাতের অন্ধকারে কিছু ঘর তুলে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি জমি এ ভাবে বেহাত হওয়ার পিছনে শাসকদলের কাউন্সিলরের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। 


যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবাশিস। অম্বিকার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, "বিধায়ক কী বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না। ওই জায়গা রাজ্য সরকারে পূর্ত দফতরের। কেউ কোথা দিয়ে উড়ে এসে বসেছে। আমরা চেষ্টা করেছি ওঠানোর জন্য। কিছু বসেছিল, যা আমরা ভেঙেও দিয়েছি। বিধায়ক কোনও কাজ করেন না। শুধু অভিযোগ করলেই তো প্রমাণ হয়ে যায়না।"


এই অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রশাসনের চোখের সামনে সরকারি জমি বেদল হয়ে যাচ্ছে কী ভাবে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাও। এ নিয়ে কলকাতা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলরাম মাঝি বলেন, "এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কল্যাণী পৌরসভার পৃথক টিম রয়েছে। এমন কোনও ঘর সরকারি জমিতে গজিয়ে উঠলে, তারা দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"