প্রদ্যোৎ সরকার ও সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে কৃষ্ণগঞ্জে ভাজনঘাট সেতু লাগোয়া আমবাগান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুুলিশ। মৃতের নাম নকুল হালদার। গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৮ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সহ সভাপতি। মৃতের পরিবারের দাবি, একটি পা ভাঙা ছিল। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ। পুলিশের তরফে দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রিপোর্ট যে তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ করতে যায় তাঁরা। এদিকে বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পরিবারের দাবি, চাষের জমিতে যাচ্ছেন বলে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। এরপর গতকাল সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ করেছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে।
মৃত বিজেপি নেতার ছেলে রাজেশ হালদারের অভিযোগ, মেরে গলায় দড়ি দিয়ে দিয়েছে। ৭টার সময় খবর আসে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। মার্ডার করে গামছা দিয়ে জড়িয়ে দিয়েছে। পা ভেঙে দিয়েছে। একই সুরে অভিযোগ করেছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর কথায়, 'ওঁর ডানদিকের পা ভাঙা। গলার দাগ রয়েছে। এটা খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা।' যদিও তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, তদন্ত চলছে, অকারণ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। বেতনা গোবিন্দপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি জয়ন্ত বিশ্বাস বলেছেন, 'বিজেপি বলতেই পারে তৃণমূল খুন করেছে। এর সারবত্তা নেই। তদন্ত চলছে। কালপ্রিটকে পেলে, তার বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা হবে। এলাকা গরম করার জন্য় বলে গেল তৃণমূল খুন করেছে। '
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক তরজা চরমে ওঠে। বন্ধ দোকানের বাইরে থেকে উদ্ধার হয়েছিল ঝুলন্ত দেহ। মিলেছিল সুইসাইড নোট। আত্মহত্যা বলে জানায় পুলিশ। খুনের অভিযোগ করেছিল পরিবার।