সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: জয়েন্টের র‍্যাঙ্ক কার্ড (Rank Card) এডিট করে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষে (MBBS) ভর্তি হতে এসে গ্রেফতার এক ছাত্রী (Arrest Student)। অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ৪৪৫৯৭৩, ছাত্রীর আনা র‍্যাঙ্ক কার্ডে ৪৪৫৭৩-এর মাঝের ৯উধাও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে।


 র‍্যাঙ্ক কার্ডে কী করে কারচুপি ?


গতকাল শ্রেয়া হালদার নামে কল্যাণী থানার আনন্দনগরের বাসিন্দা এমবিবিএস কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ভর্তি হতে আসেন। কাগজপত্র পরীক্ষা করার সময় দেখা যায়, জয়েন্টের  র‍্যাঙ্ক কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করলে অন্য তথ্য আসছে। জয়েন্ট পরীক্ষায় শ্রেয়া অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক করেছেন ৪৪৫৯৭৩। কিন্তু যে অ্যালটমেন্ট কার্ড নিয়ে এসেছে, তাতে রয়েছে ৪৪৫৭৩। অর্থাৎ মাঝের ৯ সংখ্যাটি তুলে দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজের আরও দাবি, এমনকি অ্যালোটমেন্ট কার্ডে তারিখ দেওয়া থাকে না। 


কী করে পর্দাফাঁস ?


যে অ্যালটমেন্ট কার্ড নিয়ে এসেছে, তাতে নোডাল অফিসারের ডিটেলস দেওয়া রয়েছে। বাস্তবে নোডাল অফিসারের কোন তথ্য দেওয়া থাকে না। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের নামও ভুল লেখা রয়েছে। বিষয়টি তখনই ছাত্রী ও তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করে। সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন এন্ড জেএনএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখান থেকেও পরীক্ষা করে জানা যায় পুরো বিষয়টি ভুল।


 মুখ খোলেননি ছাত্রী ও তাঁর বাবা


ইতিমধ্যেই কল্যাণী মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। কল্যানী থানার পুলিশ গতকাল রাতে ছাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবং পরে রাতে গ্রেফতার করা হয় ওই ছাত্রীকে। ধৃত ছাত্রীকে আজ কল্যাণী আদালতে পেশ করার কথা। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি ছাত্রী ও তাঁর বাবা।


আরও পড়ুন, শুভেন্দুর সভায় 'না' পুলিশের, TMC-র সভার দিনেই অনুমতি হাইকোর্টের


রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ভুরি ভুরি অভিযোগ


প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে আসছে। একদিকে অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে, আদালতের তরফে। সদ্য গতকালই টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আদালতে ডেকে ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠালেন বিচারক। আদালতে ডেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের। গ্রেফতার হওয়া ৪ শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বাসিন্দা।