সুজিত মণ্ডল, ধানতলা (নদিয়া) : প্রথমে খুন (Murder)। তারপর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় প্রথমে নির্মীয়মাণ বাথরুমে (Bathroom) মাটি খুঁড়ে দেহ পুঁতে রাখা। দেহ মাটিচাপা দেওয়ার পর তার ওপরেই কংক্রিটের গাঁথনি! বিয়ের মাত্র চার মাসের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে (Wife) নৃশংসভাবে খুন ও তারপর খুনের তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার এমন গুরুতর অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার শংকরপুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে বছর চল্লিশের রবীন্দ্রনাথ রায় পলাতক। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রীকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করে অভিযুক্ত। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গতকাল বিকেলে অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে বলেই খবর। যারপরই খবর দেওয়া হয় ধানতলা থানায়। রাতে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নৃশংস এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


জানা গিয়েছে, পেশায় টোটোচালক অভিযুক্ত। ১৩ বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে থাকত রবীন্দ্রনাথ। প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে আগেই। যদিও প্রথম পক্ষের সন্তান বাবার সঙ্গে থাকত। মাস চারেক আগে সোদপুরের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু মাত্র চার মাসের মধ্যেই বিবাদের জেরে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যার পরে যাতে যাবতীয় প্রমাণ লোপাট করে ফেলা যায় তাই প্রথমে নির্মীয়মাণ বাথরুমে মাটি খুঁড়ে দেহ পুঁতে রাখে সে। দেহ মাটি-বালি চাপা দিয়ে দেয়। তারপর তার ওপরেই কংক্রিটের গাঁথনি করে দেয়। আর মদ্যপ অবস্থায় ঘটনাটি স্থানীয়দের জানিয়ে ফেলার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত।


কিছুদিন আগেই প্রকাশ্য দিনের আলোয় খুনের ঘটনা ঘটে ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সরিষাহাটে। সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন (Hacked to Death) করা হয় এক ব্যক্তিকে। পালানোর সময় দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে (Mob Lynched) মৃত্যু হয় তাঁরও। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।


আরও পড়ুন- ২ দিনের মধ্যেই বড়বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের কিনার, উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার ৩