কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar News) পুলিশ সুপারের অফিসের খুব কাছ থেকে উদ্ধার হল তরুণীর আধপোড়া, অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে প্রেমিকের বাবা-মাকেও।
উদ্ধার হল তরুণীর দেহ: মায়ের মণ্ডপের সামনে থেকে উদ্ধার মেয়ের অর্ধনগ্ন অ্য়াসিড দগ্ধ মৃতদেহ। আরও এক মায়ের কোল খালি হয়ে গেল। ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল নদিয়া। কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিস থেকে দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। এই এলাকায় রয়েছে সরকারি দফতর, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ একাধিক আধিকারিকের আবাস। বুধবার এই এলাকাতেই ঘটে গেল এমন হাড়হিম করা কাণ্ড। উদ্ধার হল তরুণীর আধপোড়া, বিবস্ত্র দেহ। তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের পর, অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গ্রেফতার করা হল প্রেমিককে।
কী অভিযোগ পরিবারের?
পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহত তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় তরুণী। বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করত সে। পুজোর ছুটিতে এসেছিল বাড়িতে। ঘটনায় গণধর্ষণ, খুন, অ্যাসিড হামলার ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আগামীকাল কল্য়াণীর জেএনএম মেডিক্য়াল কলেজে ময়নাতদন্ত হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। নিহত তরুণীর মায়ের অভিযোগ, "ওই ছেলেটাই আমার মেয়েকে মেরে দিয়েছে। একা তো করতে পারেনি, ওর সঙ্গে মনে হয় আরও কেউ আছে। লাস্ট একটা ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছে। আমার মেয়ে কাঁদছে, কেঁদে কেঁদে বলছে, তারপরে বলছে আমার মৃত্যুর জন্য কেই দায়ী না, মানে ওকে কেউ প্রেসার ক্রিয়েট করেছে মনে হয় যে এটা বলতে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।'' পুলিশে অনাস্থা, সিবিআই তদন্ত দাবি কৃষ্ণনগরের নিহত ছাত্রীর মায়ের। তিনি বলেন, "যারা আমার মেয়েকে মেরেছে তাদের ফাঁসি চাই। আমি কষ্ট করে ফুল বিক্রি করে মেয়েকে বড় করেছি। আমার মেয়ের চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল। শ্বাসরোধ করেছে। অ্যাসিড ও ছোড়া হয়েছে। পুলিশে খুব একটা আস্থা নেই। আমরা সিবিআই দাবি করছি। প্রয়োজনে ঘর বাড়ি বিক্রি করে হাইকোর্টে যাব।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Canning News: 'যাদের মাথায় চুল কম, বুদ্ধিও তাঁদের বেশি হয়' সম্বর্ধনা দিলেন সওকত মোল্লা