ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হাঁসখালি: হাঁসখালিকাণ্ডে এবার ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্য নেবে সিবিআই। গতকাল নির্যাতিতার বাড়ি থেকে তার নিত্যব্যবহার্য জিনিস সংগ্রহ করা হয়। মূল অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে মূল অভিযুক্ত সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালি-সহ ধৃত ২ জনের। আজ ফের নমুনা সংগ্রহের জন্য ফের নির্যাতিতার গ্রামে যায় কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। 


হাঁসখালিকাণ্ডে এবার ডিএনএ পরীক্ষা: গতকাল সিবিআইয়ের অফিসাররা CFSL-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পৌঁছন মৃতার বাড়িতে। ৪ এপ্রিল রাতে নিজের বাড়িতে যে ঘরে নাবালিকাকে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা। সেখান থেকেই সিবিআই ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল চলে আসেন অভিযুক্ত ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালির বাড়িতে। যেখানে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ঠিক ওই একই সময়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অপর দলটি নাবালিকার ঘরে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যান। সন্ধেয় সিবিআই যখন দুই বাড়িতে নমুনা সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছে, তাই মধ্যে লোডশেডিং হয়ে যায় এলাকায়। প্রায় ১ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকায়, নির্যাতিতার বাড়ির উঠোনে গাড়ি তুলে, তার হেডলাইট জ্বেলে এবং টর্চের আলোয় নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ভিডিওগ্রাফি করা হয় গোটা প্রক্রিয়ার। এরপর রক্তমাখা তোষক, চাদর ও নির্যাতিতার ব্যবহার করা জামাকাপড়-সহ ২ বস্তা নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। আর এবার তদন্তের স্বার্থে ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্য নিতে চলেছে সিবিআই। 


বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি: আজ হাঁসখালি (Hanskhali) গিয়েছে বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact Finding Committee)। ৪ সদস্যের দলে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ধৌরহারা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রেখা বর্মা, তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তথ্য অনুসন্ধান কমিটিতে নাম থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিধিদলে নেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের শিশুকল্যাণমন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য। হাঁসখালি থেকে ফিরে এই কমিটি গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট দেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে।


আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: ৪২ ঘণ্টার লড়াই এখন অতীত, নববর্ষে বাড়ি ফিরল ছেলে