কৃষ্ণনগর : বিজেপির (BJP) হয়ে ভোটে জিতে সার্টিফিকেট নিতে এসেছিলেন ! তারপর বিজেপির হয়ে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) আর কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) দেখা যায়নি। পরবর্তীকালে তৃণমূলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনবার কৃষ্ণনগরে আসেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তার মধ্যে একবার মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য। 

Continues below advertisement

মুকুল রায় বিজেপিকে চান, কিন্তু বিজেপি মুকুল রায়কে চায় কি না, কিংবা হঠাৎ তিনি কেন দিল্লি ছুটলেন- এসব নিয়ে নানা মুনির নানা মত হলেও, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অধিকাংশ মানুষই কিন্তু একটা বিষয়ে একমত। তা হল- বিধায়কের দেখা মেলে না ! অর্থাৎ, তাঁদের চোখে মুকুল রায় সত্য়িই দীর্ঘদিন গায়েব !২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৮৯ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারান মুকুল রায়। জয়ের পর সার্টিফিকেট নিতে কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, বিজেপির হয়ে নাকি সেটাই মুকুল রায়ের শেষ কৃষ্ণনগর যাত্রা।

এরপর ১১ জুন তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়কে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে দু'বার তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচিতে কৃষ্ণনগরের হাভেলি হোটেলে এসেছিলেন। আর ২০২২-এর জগদ্ধাত্রী পুজোয় ১৫ মিনিটের জন্য শেষবার কৃষ্ণনগরে আসেন মুকুল রায়। এনিয়ে কৌশানী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, উনি কৃষ্ণনগরের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। উনি ওখানে যান না।

Continues below advertisement

মুকুল রায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ও বিজেপি কর্মী অরূপ দাস বলেন, আমি ওই চারমাস সময় যা সার্টিফিকেট ছিল, সেটা দিয়ে চালিয়েছি। তারপর অসুস্থ হয়ে গেলেন, তারপর আর জানি না।

কৃষ্ণনগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর বর্ণালী গুঁইন দত্ত বলেন, মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। আমরা অনেক কষ্ট করে ওঁকে জিতিয়েছিলাম।

মুকুল রায়কে নিয়ে কৃষ্ণনগরের বিজেপি নেতা আর তৃণমূল নেতাদের অভিজ্ঞতার তেমন কোনও পার্থক্য নেই। কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রদীপ দত্ত বলেন, মানুষের ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়েছে। কেউ তাকে দেখেনি। আমাদের নাজেহাল হতে হয়। ওঁকে কেউ খুঁজে পায়নি।

কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস বলেন, পুরসভার কোনও টাকা পায়নি। সবে শুনলাম না কি ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। একজন বিধায়ককে সার্টিফিকেট স্থানীয় মানুষের নানা কাজে প্রয়োজন হয়। কিন্তু, বিধায়কই যদি এলাকায় না আসেন, তাহলে সেই সার্টিফিকেট পাবে কী করে সাধারণ মানুষ ?

কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা অসীম সাহা বলেন, হোয়াটস অ্যাপে নথি পাঠায়, আমরা পাঠিয়ে দিই।