নয়াদিল্লি: টানা পাঁচ ম্যাচে হার। প্যানিক বাটন প্রেস করে দিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) কর্তারা। দলের সব ভারতীয় ব্যাটাররা ব্যর্থ।অগত্যা আনক্যাপড ও নিলামে অবিক্রিত দুই ক্রিকেটারকে ডেকে পাঠাল দিল্লি। যাঁদের মধ্যে একজন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। অন্যজন প্রিয়ম গর্গ। এক সময় যিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন।
পৃথ্বী শ রান পাচ্ছেন না। যশ ধূল, ললিত যাদব, কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে লাল বলের দুই বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠাল দিল্লি ক্যাপিটালস।
দিল্লি দলের দিকে নজর রাখা আইপিএলের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ২৫ ক্রিকেটারকে নেওয়া যেতে পারে যে কোনও দলে। দিল্লি দলে ইতিমধ্যেই ২৫ জন রয়েছে। তাই কীভাবে কারও পরিবর্ত নেওয়া যায়, দেখা হচ্ছে। আপাতত শুধু এটুকু বলা যেতে পারে যে, দুই ক্রিকেটারই ট্রায়ালের জন্য আসছেন।
দিল্লি দলে ফিটনেসের অভাবে ভুগছেন একমাত্র খলিল আমেদ। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট রয়েছে তাঁর। তবে দিল্লি শিবির আশাবাদী যে, খলিল ফিট হয়ে যাবেন। দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্টের আতঙ্ক অবশ্য স্বাভাবিক কারণেই। কিন্তু তাই বলে অভিমন্যু ঈশ্বরণ? অনেকেই বাংলার ক্রিকেটারকে ট্রায়ালে ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ, ওয়ান ডে ক্রিকেটেও তাঁকে নিয়মিত মনে করা হয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ২৭টি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তাও গত ১০ বছরের কেরিয়ারে। ওপেনার হিসাবে মাত্র ১২১ স্ট্রাইক রেট। একটিমাত্র সেঞ্চুরি রয়েছে। সেটাও নর্থ ইস্টের এক দলের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে প্রিয়ম গর্গ এক সময় ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন। দুই মরসুম আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তবে নজর কাড়তে পারেননি। ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৭ ব্যাটিং গড় প্রিয়মের। ১১৫ স্ট্রাইক রেট। যা আন্তর্জাতিক মানের নয়। গত কয়েক মরসুম ধরেই আইপিএলের নিলামে অবিক্রিত থাকছেন ঈশ্বরণ। অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে প্রিয়ম গর্গও আর দল পাননি।