কলকাতা : বিশ্বাসে মিলায় বস্তু , তর্কে বহুদূর। অনেকেই দূর দূর থেকে ছুটে আসেন নৈহাটির বড় - মা র দর্শনে। কেউ আসেন উৎকণ্ঠা নিয়ে, কেউ আসেন মনোবাসনা নিয়ে, আবার কেউ আসেন ইচ্ছেপূরণের অভিলাষে। আজ ইস্তক বড়মার শরণে আসার পর এমন এমন অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যা দেশে স্তম্ভিত ভক্ত ও সেবায়েতরা। তবে বড় মা-র ট্রাস্টের তরফে সবসময়ই বলা হয়, আগে চিকিৎসকের কাছে যান, নিজের চেষ্টা জারি রাখুন, তারপর বড় মা'র উপর বিশ্বাস তো রাখতেই হবে।
বড় মায়ের কাছে এসে কার কীভাবে ইচ্ছেপূরণ হয়েছে, তা বলতে গিয়ে সেক্রেটারি এবিপি লাইভকে জানালেন, একবার এক মহিলা তাঁকে ফোন করে ইচ্ছেপ্রকাশ করেন শাড়ি দিয়ে বড় মা কে পুজো নিবেদনের। আবেদন জানান, যেন তাঁর শাড়িটি মা-কে একবার পরানো হয়। তিনি জানান, বড়মার কাছে এসে তিনি কীভাবে উপকৃত হয়েছেন। একবার তাঁর মুখমণ্ডল ফোঁড়াফোস্কায় ভরে যায়। কিছুতেই সারছিল না। ডাক্তার দেখিয়েও বড় একটা লাভ হয়নি। মায়ের কাছে এসেছিলেন মাস্ক পরে। তখন একটি বাচ্চা ছেলে তাঁর শাড়িটি টেনে টেনে কিছু বলতে চায়। বাচ্চাটি মহিলাটিকে বলতে থাকে, 'টপিক্যালে যান'। মহিলা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেন না, কে এই শিশু। কীই বা বলতে চাইছে। পরে বাড়ি ফিরে ভাবেন, টপিক্যাল বলতে হয়ত, টপিক্যাল মেডিসিনে যাওয়ার কথাই বলেছে সে। তারপর কলকাতায় এসে স্কুল অফ টপিক্যাল মেডিসিনে যান তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। বহু জায়গায় ডাক্তার দেখিয়েও লাভ না পাওয়া মহিলা অবশেষে সঠিক চিকিৎসা পান কলকাতায় SSKM এ।
ট্রাস্ট সেক্রেটারি তাপস ভট্টাচার্যর কথায়, মা এভাবেই কারও না কারও মারফত ভক্তকে পথ দেখান। তাই মায়ের কাছে আসতে গেলে আসতে হবে সম্পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে। কেউ হয়ত মায়ের আশীর্বাদে জীবনে কঠিন পরিস্থিতি পার করে ফেলেন, কখনও আবার কঠিন অসুখের সঙ্কট কাটিয়ে ওঠেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে বারবার পরামর্শ দিলেন তাপস ভট্টাচার্য। ডাক্তারের ওপর ভরসা রাখতে হবে। ওষুধ খেতে হবে। তারপর বড় মা তো আছেনই। আগামী ৩১ অক্টোব, দীপাবলিতে নৈহাটিতে বড় মার মহাপুজো।
ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন :