জয়ন্ত রায়, বজবজ: বজবজ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে মৃত ব্যক্তির। এ’নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই, মনোনয়নপত্র জমা দিলেন প্রথম তালিকায় থাকা তৃণমূল প্রার্থীরা। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
পুরভোটের টিকিট বড় বালাই। কোচবিহারে, তৃণমূলের প্রার্থী অসন্তোষ মায়ের বিরুদ্ধে পথে নামিয়েছে ছেলেকে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে কার্যত ফাটল ধরিয়েছে সংসারে। স্বামী শহর তৃণমূলের সভাপতি। টিকিট না পাওয়ায়, স্বামীর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন স্ত্রী’র অনুগামীরা। আর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় বলে পরিচিত ডায়মন্ড হারবারে কার্যত ফাটল ধরেছে তৃণমূলের অন্দরে। সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই করা দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকাকে যখন চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুকে প্রথম তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের নিয়েই শুরু হয়েছে পুরভোটের প্রস্তুতি।
এই অবস্থায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে, তৃণমূলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে মৃত ব্যক্তির। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই, সোমবার প্রথম তালিকায় থাকা প্রার্থীদের দলীয় সিম্বল দেওয়া হয়। তাঁরাই মনোনয়নপত্র জমা দেন। বজবজের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা শেখ লুৎফার হোসেন বলেন, “সম্ভবত প্রিন্টিং মিস্টেকের জন্য মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায়, আমরা এমপি অফিসের নির্দেশ মতো প্রথম তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তারা মনোনয়ন জমা দিচ্ছে।’’
প্রথম তালিকায় নাম না থাকলেও, দ্বিতীয় তালিকায় নাম ছিল বজবজ পুরসভার দু’বারের কাউন্সিলর দীপক ঘোষের। প্রথম তালিকায় নাম থাকারা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলে প্রার্থী-অসন্তোষ, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর, ফের বিভ্রান্তি, এটা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি, দ্বিতীয় তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কারা ঘাসফুল প্রতীকে লড়বেন, তা নেতৃত্বই ঠিক করবে।
আরও পড়ুন: TMC: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ওয়াই ক্যাটিগরির সুরক্ষা প্রত্যাহার রাজ্য সরকারের