নন্দীগ্রাম: লোকসভার ভোটের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শনিবার। তার আগে, নন্দীগ্রামে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হল এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে (BJP Worker)। তাঁর ছেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আহত ওই যুবক বিজেপির SC মোর্চার সম্পাদক। এদিন তৃণমূল নেতারা এলাকায় গেলে গো ব্য়াক স্লোগান দেয় বিজেপি।


দিনভর কী ঘটল নন্দীগ্রামে?


ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে অগ্নিগর্ভ উঠল নন্দীগ্রাম। ঝরল রক্ত, গেল প্রাণ। খুন হলেন বিজেপি কর্মী মা। গুরুতর জখম হলেন ছেলে। যিনি বিজেপির SC মোর্চার সম্পাদক। অভিযোগ, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ বিজেপির এসসি মোর্চার অঞ্চল সম্পাদক সঞ্জয় আড়িকে বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে, ধারাল অস্ত্র নিয়ে বিজেপি নেতার মায়ের ওপরও চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। কুপিয়ে, মাথায় রড দিয়ে মেরে খুন করা হয় বিজেপি নেতার মাকে। স্বজনহারার চোখের জলে ফের ভিজল জমি-আন্দোলনের আঁতুরঘরের মাটি।


রাতে খুনের পর, সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামে সোনাচূড়া। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম বনধের ডাক দেয় বিজেপি। রাস্তার ওপর গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। নন্দীগ্রাম থানার সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল একের পর এক দোকানে। এরপরই শুরু হয় পুলিশের অভিযান। লাঠি হাতে তাড়া করে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়। কয়েক জনকে আটক করে পুলিশ। এবিষয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "নন্দীগ্রামের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবে জড়িত নয়। নন্দীগ্রামে যে মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটেছে দুর্ভাগ্য়জনক। কিন্তু সেটা কতটা রাজনৈতিক, রাজনৈতিক যদি হয়, সেক্ষেত্রে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ওই এলাকায় তীব্র। ফলে সেখানে আদি বিজেপি বনাম নব্য় বিজেপি, সেই জায়গায় সংঘাত তীব্র হয়ে রয়েছে।'' এদিন নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে পুলিশকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, "আমার কাছে সিসিটিভি আছে। আল রাজির নেতৃত্বে খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে, আমাদের মা-কে খুন করেছে, রথীবালা আড়ি সঞ্জয় আড়ির মা নয় আমার মা। আপনারা খুনিদের সঙ্গে এক্ষুনি মিটিং করেছেন।''

এদিকে এদিন বিকেলে নন্দীগ্রামের অশান্ত এলাকায় পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক সহ তৃণমূলের অন্য়ান্য নেতারা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই মৃত্যুটাতো ঘটেছে নিছক একটা পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে, তারপরে ২ দল বিজেপির মধ্যে লড়াই। তার কারণে, তার পরিণামে এই মৃত্যু। তো এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন জড়ানো হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস তো কোথাও এখানে রাজনৈতিকভাবে সবলই নয়। এই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। সোনাচূড়ার রেজাল্ট দেখুন না বিগত দিনে।'' আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই বক্তব্যর পরই, গো ব্য়াক স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: হিরণের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো! অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ আপ