কলকাতা : বাংলার ভোট-মানচিত্রে মতুয়া সম্প্রদায় সব সময়ই একটা বড় ফ্যাক্টর। যাদের সিংহভাগই এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। তাদের ভোটের দিকে পাখির চোখ তৃণমূল-বিজেপি-সহ সব দলের । এসআইআর নিয়ে এই তুমুল হট্টগোলের পর মতুয়ারা এখন কোন দিকে যাবে? এই নিয়ে এখন জোরদার অঙ্ক কষাকষি।ফের একবার ভোটের ঠিক আগে, মতুয়াদের নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দড়ি-টানাটানি চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে, অঙ্ক বলছে এবার ভোটের আগে এসআইআর এর ফলে বিজেপির মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে টান ফেলতে পারে। ঠিক কীরকম হিসেবটা? 

Continues below advertisement

রাজ্যের ৭৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এর মধ্য়ে ৩১ টি সংরক্ষিত বিধানসভা আসনে কার্যত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয় মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক। বনগাঁ, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট, এই ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোট গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। CAA চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে মতুয়াদের ঢালাও সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে মতুয়া ভোটের সিংহভাগই গেছিল তৃণমূলের দিকে। আবার, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ায় বিজেপি। আর, এবার ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে সেই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়েই তুঙ্গে উঠেছে টানাপোড়েন। 

এর কারণ, বিজেপি নেতা সুব্রত ঠাকুরের দাবি। দু-হাজার উনিশ সাল থেকে যে বিজেপি (BJP), মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে।  ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে সেই মতুয়াদের নাগরিকত্বই নিয়ে এখন বিশবাঁও জলে। বিধানসভায় ভোট দিতে পারবে কি না তা নিয়েই উৎকণ্ঠায়! এই অবস্থায় বনগাঁর মতুয়াগড়ে মিছিলের পাশাপাশি জনসভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা নিয়ে চাপ বেড়েছে বিজেপির। আর এখন বনগাঁর ঠাকুরনগরের মতুয়াবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুর বলছেন, সন্দেহজনক ভোটারদের আশি থেকে ৯০ শতাংশই মতুয়া। ফলে, SIR-এ সেই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়েই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। আর তাই জন্যই কি শনিবার মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাটে সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি?  

Continues below advertisement

কী ভাবছেন জনতা? 

বিধানসভা ভোটে বিজেপির মাথাব্যথার কারণ হবে মতুয়া ভোট? এই প্রশ্নটি এবিপি আনন্দ-র তরফে রাখা হয়েছিল সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে।   কী বলতে জনতা? হিসেব বলছে, হ্যাঁ বলছেন, ৭৩ শতাংশ। না বলছেন, ২৪ শতাংশ। বলতে পারব না, ৩ শতাংশ। এছাড়া প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, রানাঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কি পারবে মতুয়াদের ক্ষোভে প্রলেপ দিতে ? হ্যাঁ  বলছেন  ৭২ শতাংশ। না বলছেন ২৬ শতাংশ । বলতে পারব না বলেছেন ২ শতাংশ।