কলকাতা: সিকিমে তুষারধসের (Sikkim Avalanche) কবলে পড়ে পরপর মৃত্যু। অন্তত ৭ জনের দেহ উদ্ধার। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ সেনার। শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী।


তুষারধসের কবলে পড়ে পরপর মৃত্যু: আনন্দের মুহূর্ত নিমেষে বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। অনুমতি ছাড়াই এগিয়ে যাওয়ার মাশুল গুণতে হল পর্যটকদের। সিকিমের নাথুলার কাছে তুষারধসে মৃত্য়ু হল অন্তত ৭ জনের। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও, এখনও অনেকের তুষারধসে আটকে থাকার আশঙ্কা। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ হঠাৎ তুষারধস নামে ১৭ মাইল এলাকায়।


মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইটে লেখা হয়, “সিকিমে তুষারধসে বিপর্যস্ত। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা। আশা করছি আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। উদ্ধার অভিযান চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে। ’’







শোকপ্রকাশ করে ট্য়ুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সিকিমের মর্মান্তিক ঘটনায় ব্যথিত। তুষারধসের জেরে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ’’


 





১৫ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি ছিল পর্যটকদের। ১৭ মাইলে জলপ্রপাত দেখতে এগিয়ে যায় পর্যটকের দল। তখনই ঘটে বিপত্তি। একাধিক পর্যটককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সেনা হাসপাতালে। বরফের তলায় চাপা পড়ে যায় পর্যটকদের গাড়িও। উদ্ধারকাজে নামে সিকিম পুলিশ ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। বেলচা দিয়ে বরফের স্তর সরিয়ে উদ্ধার করা হয় অন্তত সাড়ে তিনশো পর্যটককে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারী দলের।    

আরও পড়ুন: Anurag Thakur: ‘যা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তা কি সমাজে বিভাজনের চেষ্টা নয়?' আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর