কলকাতা: আগামী কাল রাজ্যে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ, তার আগে আজ ফের বঙ্গসফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে তিনটি সভা করবেন তিনি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে পর পর সভা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এর আগে বঙ্গসফরে এসে কলকাতার রাজভবনে রাত কাটালেও, এবার আর রাজভবনে উঠছেন না মোদি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে যখন কাটাছেঁড়া চলছে, সেই সময় মোদির এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। (Narendra Modi)


লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রবিবার ফের রাজ্য পা রাখছেন মোদি। আজ মোট তিনটি সভা রয়েছে তাঁর। বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতর সমর্থনে পুরুলিয়ায় প্রথম সভাটি করবেন তিনি। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার এবং বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে ওন্দায় সভা রয়েছে। পাশাপাশি, আগামী কালও দু'টি সভা রয়েছে মোদির। অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে খড়্গপুরেও সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাজভবনের পরিবর্তে আজ রাতে তিনি থাকবেন কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। (CV Ananda Bose)


কয়েক দিন আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে যখন তোলপাড় চলছে, সেই সময়ও রাজ্যে এসে রাজভবনেই ওঠেন মোদি। তার পরেও একবার রাজভবনে রাত্রিবাস করেন তিনি। সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত রাজ্যপালের বাসভবনেই ওঠার জন্য তৃণমূল তীব্র আক্রমণ শানায়। তাই এবার মোদির রাজভবনে না ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েও নান জল্পনা শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন: Raj Bhavan Controversy: অভিযোগকারিণীকে আটকানোর চেষ্টা? শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজভবনের কর্মীদের তলব করল পুলিশ


এমনিতে রাজভবনে মোদির জন্য নির্দিষ্ট একটি ঘর রয়েছে। এবারও সেই ব্যবস্থা করে রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্য বার মোদি আসার আগে রাজভবনে যে তৎপরতা চোখে পড়ে, এবার তা নেই। আর তার পরই মোদি রাজভবনে থাকছেন না বলে জানা যায়। আজ সভা সেরে কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাত কাটাবেন। কাল সকালে সেখান থেকে বেরিয়ে বাকি সভাগুলি সারবেন, তার পর আবার উড়ে যাবেন। তবে কেন রাজভবনে থাকছেন না মোদি, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি। 


নির্বাচনী মরশুমেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী এক মহিলা। চাকরির স্থায়ীকরণ এবং উন্নতির আশ্বাস দিয়ে রাজ্যপাল দু'-দু'বার তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগকারিণী থানায় অভিযোগ জানালেও, সংবিধানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের অনুমতি নেই। এমন পরিস্থিতিতে রাজভবনের তিন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগকারিণীকে তাঁরা বাধা দেন, অভিযোগ জানানো থেকে আটকাতে যান বলে অভিযোগ।