হিন্দোল দে ও রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা ): নরেন্দ্রপুরে রেনিয়ায় হাড়হিম করা হামলা। বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে প্রকাশ্যে খুনের চেষ্টা। চপার দিয়ে যুবককে এলোপাথাড়ি কোপ, আহত আরও কয়েকজন। গ্রেফতার অভিযুক্ত স্থানীয় দুষ্কৃতী বাপ্পা মণ্ডল। 


বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল! তার জেরে যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা! গতকাল রাতে মারাত্মক ঘটনা ঘটে নরেন্দ্রপুরে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত জ্ঞান আসেনি আক্রান্তের। এদিকে, খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে এর আগে অ্যাসিড ছোড়া ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।


প্রথমে বাইকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত। একবার নয়, একাধিকবার। যার বাইক, তিনি এসে বাধা দিতে গেলে, তাঁর মুখেও ভয়ঙ্করভাবে আঘাত। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন যুবক। বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল! তার জেরে যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা!


মঙ্গলবার রাতে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে ঘটে এই মারাত্মক ঘটনা। নরেন্দ্রপুরের জয়কৃষ্ণপুর বুড়িয়ায় একটি অনুষ্ঠান ছিল। তারই প্য়ান্ডেল তৈরি ও অন্যান্য কাজেক দায়িত্ব পান, প্রসেনজিৎ সর্দার (২৬) নামে  বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা এই যুবক। কাজের সূত্রেই মঙ্গলবার রাতে নরেন্দ্রপুরে যান তিনি। অনুষ্ঠানস্থলের অদূরে রাখা ছিল তাঁর বাইক। 


প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎ সেই সময় এসে ধারাল চপার দিয়ে বাইকে আঘাত করতে শুরু করে বাপ্পা মণ্ডল নামে স্থানীয় এই যুবক। বাইকটি ছিল প্রসেনজিতের। স্থানীয়দের দাবি, তিনি এসে শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন বাইকে হামলা? তখনই সঙ্গে সঙ্গে যুবকের মুখে চপার দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় SSKM হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আক্রান্ত যুবক।


প্রকাশ্য়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। নরেন্দ্রপুরের জয়কৃষ্ণপুর বুড়িয়াতে। শুধু বাঁশদ্রোণীর এই যুবকই নন, চপাড়ের আঘাতে আহত হন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও। অভিযুক্ত যুবক মত্ত অবস্থায় ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। 


নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা সোনামণি মণ্ডল বলছেন, হঠাৎ করে বাপ্পা চপাড় দিয়ে মারতে শুরু করে। এখানে কেন বাইক রাখা হয়েছে। তখন আমার স্বামীকে চপার দিয়ে মারতে যায়। এলোপাথাড়ি চালাতে যায়। আমি বাঁচাতে গেলে চোখের নীচে লাগে চপারের বাঁটটা। কালশিটে পড়ে যায়। রাতেই বাপ্পা মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে এর আগেও অ্য়াসিড ছোড়া ধর্ষণের মতো অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় ধৃতের বিরুদ্ধে মারামারি, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বিবাদ, নাকি নেপথ্য়ে রয়েছে ব্য়ক্তিগত শত্রুতা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।