হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুর থানা (Narendrapur Police Station) এলাকায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় এএসআই ক্লোজ। ক্লোজ করা হল অভিযুক্ত এএসআই অর্ণব চক্রবর্তীকে (ASI Arnab Chakraborty)। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় সুরজিৎ সর্দার নামে এক ব্যক্তির। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরে মৃত্যুর অভিযোগ করে পরিবার। সেই ঘটনায় এএসআই-কে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নিল বারুইপুর পুলিশ জেলা (Baruipur District Police)। ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটিও (Committee) তৈরি করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রপুরে পুলিশ হেফাজতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ারও অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। পুলিশ সুপারের কাছে নরেন্দ্রপুর থানার তদন্তকারী অফিসার অর্ণব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, টাকা নেওয়া ও পিটিয়ে মারার অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। 


তবে জেলের ভিতরে অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে। গতমাসেই পাওনা টাকা চাইতে গেলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যে। দমদম জেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল ধৃতের। নিউটাউনের সুলংগুড়িতে এরপরেই তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। বন্দিকে জেলে খুনের অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। রাস্তায় মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ-অবরোধ চালানো হয়েছিল।


সম্প্রতি এনআরএস (NRS) হাসপাতালের গেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা করা হয় এক যুবককে। মুচিপাড়া থানার পুলিশ (Muchipara Police Station) তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেই যুবকের মৃত্যু হয়। বারাসাতের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম শেখ নৌশাদ আলি (২৫)। পুলিশ জানিয়েছিল, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে যুবক জানায়, নেশায় সঙ্গ দিতে রাজি না হওয়ায় কৃষ্ণ নামে এক ব্যক্তি তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। যুবকের মৃত্যুর পর খুনের মামলা রুজু করে, অভিযুক্তের সন্ধান চালায় এরপর মুচিপাড়া থানার পুলিশ।


 রক্তাক্ত অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালের এক নম্বর গেটে বাইরে পড়ে থাকতে গিয়েছিল ওই যুবককে। জানা যায়, বারাসাতের ২৫ বছর বয়সি যুবক নৌশাদ আলি পেশায় মালবাহী গাড়ি চালক। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল মুচিপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জবানবন্দিতে ওই যুবক জানিয়েছিল, কৃষ্ণ নামের এক যুবক তাঁকে প্রথমে নেশা করার জন্য জোর করতে থাকে। নেশার করতে না চাওয়ায় তাঁকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ চালানো (Stabbed to Death) হয় বলেও অভিযোগ তাঁর।


আরও পড়ুন, কী পদক্ষেপ ? কালিয়াগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল


হাসপাতালে চিকিৎসা চললেও শেষ রক্ষা হয়নি। গভীর রাতে প্রাণ হারায় ওই যুবক। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও (Homicide Department Investigator) পৌঁছন। যার বিরুদ্ধে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন ওই মৃত যুবক, তাঁর খোঁজ চালিয়েছিল পুলিশ।