ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা:  বিতর্কিত ‘চরক শপথে’ই (Charak Oath) মান্যতা দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। পড়ুয়া চিকিৎসকদের পঠনপাঠনের শুরুতে ‘চরক শপথে’র পরামর্শ। পরামর্শ দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন।


চরক শপথে মান্যতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের: MBBS-এর সংশোধিত পাঠক্রমে চরক শপথের মান্যতা দেওয়া হল। পাঠক্রম শুরুর প্রথম দিনই নিতে হবে চরক শপথ। যদিও নির্দিষ্ট কোনও তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের একাংশ। এত বিতর্কের পরেও চরক শপথকেই মান্যতা দেওয়ায় তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। নির্দেশিকা জারি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের জানিয়েছে, "পড়ুয়াদের ফাউন্ডেশন কোর্সে বাধ্যতামূলক হল যোগ ব্যায়াম। সব মেডিক্যাল কলেজে ১২ থেকে ২১ জুন যোগ ব্যায়াম বাধ্যতামূলক। পঠনপাঠনের শুরুর ১০ দিন ১ ঘণ্টা করে পড়ুয়াদের করতে হবে যোগ ব্যায়াম।" ১২ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস থেকে ১০ দিন চলবে কর্মসূচি। 


ডাক্তারি পাশ করার পর পড়ুয়াদের তাঁদের গ্র্যাজুয়েশনের দিনে নেওয়ানো হয়ে থাকে হিপোক্রেটিক ওথ’ (Hipocratic oath)। হিপোক্রেটাসের শপথবাক্য পাঠ করেই রোগী চিকিৎসায় ব্রতী হন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের দেওয়া হয়ে থাকে হোয়াইট কোটও। এর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি গাইডলাইন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। যেখানে প্রস্তাব নেওয়া হয়, এবার থেকে ভারতীয় চিকিৎসকরা পাশ করার পর হিপোক্রেটিক ওথের বদলে চরক শপথ নেবেন। আর এবার সবকিছু ছাপিয়ে বিতর্কিত ‘চরক শপথে’ই  মান্যতা দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন।


বিতর্কিত ‘চরক’ শপথ: গত ফেব্রুয়ারি মাসে 'চরক-শপথ' (Charak Oath) নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College)। অভিযোগ, কলকাতা মেডিক্যালে প্রথম বর্ষের প্রথম ক্লাসেই ডাক্তারি পড়ুয়াদের নেওয়ানো হয়েছে বিতর্কিত ‘চরক’ শপথ।  সিনিয়র পড়ুয়াদের অভিযোগের তির ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষের দিকে। যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি করে, গোটা ঘটনাটাই হয়েছে, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (National Medical Commission) গাইডলাইন মেনে।


আরও পড়ুন: Governor Jagdeep Dhankhar: রাস্তার মাঝে অসুস্থ? মাঝপথ থেকেই রাজভবনে ফিরলেন রাজ্যপাল, ফোনে খোঁজ মমতার