কলকাতা: বারবার ভাঙড়ে যেতে বাধা পুলিশের। এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। শুক্রবারের পর গতকালও ভাঙড় যেতে বাধা দেওয়া হয় আইএসএফ বিধায়ককে (ISF MLA)। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দিয়ে আটকায় পুলিশ। কেন আইএসএফ বিধায়ককে ভাঙড়ে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন নৌশাদের আইনজীবীর। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।


আদালতের দ্বারস্থ হলেন নৌশাদ সিদ্দিকি: বারবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ভাঙড়ে যাওযার পথে পুলিশের বাধা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। শুক্রবারের পর রবিবার ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে, নৌশাদ সিদ্দিকিকে ভাঙড় যাওয়ার পথে আটকায় পুলিশ। সোমবার, আদালতে নৌশাদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, পুলিশ অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছে। নৌশাদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, কেন আইএসএফ বিধায়ককে ভাঙড়ে যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ? মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) মনোনয়ন পর্ব থেকেই লাগাতার অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় (Bhangar)। ভোট ঘোষণার পর থেকে সোমবার অবধি শুধু ভাঙড়েই প্রাণ গেছে ৭ জনের।যার মধ্য়ে রয়েছে শাসক থেকে বিরোধী, সব দলেরই কর্মী। শুক্রবার সেই ভাঙড়ে নিহত ISF কর্মীর বাড়িতে যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন ভাঙড়েরই বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। আটঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষার পর ফিরতে হয় তাঁকে। রবিবার, ফের নিউটাউনের আর্টস একরের সামনে ব্যারিকেড করে আটকানো হয় আইএসএফ বিধায়কের গাড়ি। একটানা গাড়ির ভিতরেই অবস্থানে বসে থাকেন নৌশাদ। হেঁটে ভাঙড়ে ঢোকার চেষ্টা করলে, তাতেও বাধা দেয় পুলিশ।শনিবার, মৃত তৃণমূল কর্মীর দেহ নিয়ে, ভাঙড়ে ঢোকার সময় সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম সহ তৃণমূল নেতাদেরও আটকে দিয়েছিল পুলিশ। চলতি সপ্তাহেই নৌশাদের মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।


এদিকে মনোনয়নের শেষ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে অশান্তি, গুলি চালনা, বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ৩ আইএসএফ কর্মী। ভোট গণনার দিন রাতে পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনাতেও ধৃতদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে কাশীপুর থানার পুলিশ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Vitamin D Deficiency: ক্লান্তি আসছে সহজেই? বাড়ছে হাড়ে ব্যথা? ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হচ্ছে না তো? কীভাবে বুঝবেন?