কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : নেপালে চোখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েন বর্ধমানের দুই বাসিন্দা। অবশেষে বাড়ি ফিরছেন ভারতীয় সেনা ও দার্জিলিং পুলিশ এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তৎপরতায়।
আরও পড়ুন, 'আদালত চলবে কীভাবে ? ২০২৪ থেকে কাজ আটকে', অর্থ বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে মুখ্যসচিব
গত ৮ সেপ্টেম্বর মেয়ে কবিতা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে নেপালে চোখের চিকিৎসা করাতে যান বর্ধমানের সরাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আরজাদ হোসেন।তিনি ৯ তারিখে ডাক্তার দেখান।এরপর নেপালের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে মেয়েকে নিয়ে তিনি কার্যত হোটেলবন্দি হয়ে পড়েন।উৎকন্ঠা বাড়ে বর্ধমানের বাড়িতেও।পরিস্থিতি চরম উত্তাল হয়ে উঠলে সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠভাবে দেশে যাতে তিনি ফিরতে পারেন তার জন্য আবেদন জানান সৈয়দ আরজাদ হোসেন। এরপরই জেলা প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে।আজ সকালেই ভারতীয় সেনার তৎপরতায় বিহার-নেপাল সীমান্তের যোগবানী বর্ডার দিয়ে মেয়ে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন আরজাদ হোসেন। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী KP শর্মা ওলি।দেশের নিয়ন্ত্রণ এখন সেনাবাহিনীর হাতে।উত্তাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, এই মুহূর্তে ভারতীয় নাগরিকদের নেপাল যাওয়া স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নেপালের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, তাই নেপাল অশান্ত হওয়ায় উদ্বেগ এপারেও!বারবার শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ওপারের আঁচ যাতে এপারে না পড়ে তার জন্য় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় ছিলেন তিনি।তৃণমূল কংগ্রেসের X হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ নেপালের উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের।রাজ্যের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতভর উত্তরকন্যায় ছিলেন। পরিস্থিতির ওপর তিনি নজর রেখেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,' যেই শুনেছি নেপালে সমস্যা, চলে এসেছি, সারারাত উত্তরকন্যায় বসে পাহারা দিয়েছি। পর্যটক যাঁরা গেছেন, আমি জানি অনেক ভ্রমণযাত্রী বেড়াতে গেছেন, তাঁদের আমি এইটুকু বলব, আমরাও রাজ্য সরকার থেকে (বিষয়টার উপর) নজর রাখছি, তাঁরা একটা দিন, দুটো দিন অপেক্ষা করুন, আস্তে আস্তে আপনাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসব, চিন্তা করবেন না, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কোনও বিপদের মধ্যে পড়বেন না, একটু শান্তি ফেরাতে দিন, ওরা শান্তি ফেরাক, আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র খুশি হব।'যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাতজাগা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।