কলকাতা : কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার (Kolkata International Book Fair) এক পোস্টার (Poster) ঘিরে বিতর্ক। বইমেলার এক নম্বর হলের জন্য তৈরি পোস্টারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে (Netaji Subhash Chandra Bose) সম্মান জানানো হয়েছে। তাঁর নামাঙ্কিত করা হয়েছে হলটি। কিন্তু সেই হলের নামাঙ্করণের জন্য যে পোস্টারটি দেওয়া হয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে নেতাজির মৃত্যুদিনের। আর যা নিয়েই ফের সেই বহু চর্চিত ও বিতর্কিত বিতর্কের সূত্রপাত। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ যে পোস্টারের ছবি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের (Publishers And Book Sellers Guild) দিকে। যে প্রসঙ্গে গিল্ডের পক্ষ জানানো হয়েছে, এক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল। তাদের পক্ষ থেকেই এটা লেখা হয়েছে। কোনওভাবেই মৃত্যুর দিন না লেখাটাই বাঞ্ছনীয় ছিল। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) লেখেন, 'অপদার্থ! জেনে নাকি না জেনে? বইমেলায় গিল্ডের করা প্যাভিলিয়নে নেতাজির জন্মতারিখের সঙ্গে মৃত্যুর দিনও!!! তাহলে অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করে দিল গিল্ডই। অবিলম্বে এইসব সরানো হোক। আমরা নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের যথাযথ তদন্তের পক্ষে।' তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝে আগামীকালই বিতর্কিত পোস্টারটি সরিয়ে ফেলার বার্তা দেওয়া হয়েছে গিল্ডের পক্ষ থেকে।


গতকালই ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে।






প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ৯৫ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী হরেন বাগচী বিশ্বাস নেতাজি জীবিত না মৃত জানতে চেয়ে এবং ভারতীয় নোটে সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবি ব্যবহার করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচাপরতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে হলফনামায় তথ্য জমা দিতে বলেছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। নবতিপর স্বাধীনতা সংগ্রামী তাঁর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে যে অবদান রেখেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু তার যোগ্য মর্যাদা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও পড়ুন- নোটে নেতাজির ছবির দাবিতে হাইকোর্টে নবতিপর, কেন্দ্রের উত্তর তলব