কলকাতা: হকার উচ্ছেদে নিউটাউনে ফের চলল বুলডোজার। নিউটাউনের পাচুরিয়া-সর্দারপাড়ায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে ফেরঅভিযান। পুলিশ নিয়ে অভিযানে নামল নিউ টাউন উন্নয়ন পর্ষদ (NKDA)। এদিন অভিযান চলাকালীন চলে মাইকিং। ভিড় জমাতে নিষেধ করা হয় সকলকে। এর পর একে একে বেড়া, টিনের ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন তাঁদের সময় দিল না বলে দাবি করছেন তাঁরা।(New Town Eviction)
বৃহস্পতিবার নিউটাউনে DLF 2 বিল্ডিংয়ের কাছের ফুটপাতের দোকানগুলি ভেঙে ফেলতে অভিযানে নামে NKDA. প্রশাসনের দাবি, বেআইনি ভআবে দোকানগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, একটু সময় পেলে ভাল হতো। এতে অন্তত কিছুটা গুছিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে তাঁদের সময় দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। (Bulldozer Eviction in New Town)
যে ক'টি দোকান ছিল সেখানে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভেঙে ফেলা হয় এদিন। যদিও প্রশাসনের দাবি, এর আগে সার্ভে করা হয়েছিল এলাকায়। সেই সার্ভের প্রেক্ষিতেই বেআইনি দোকানগুলিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফুটপাত দখল করে বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলিই ভাঙা হচ্ছে বলে এদিন জানানো হয় প্রশাসনের তরফে। যদিও সর্বস্ব হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সামগ্রীটুকু বের করে আনার সময় পেলেন না বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'গুলি করলে কে বাঁচাবে'? সৌগতর পর এবার হুমকি ফোন পেলেন মদন
বুলডোজার নামানোয় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নিউটাউনের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, একটুও সময় পেলেন না। কেউ বলছেন ২০ হাজার, কেউ বলছেন ৫০ হাজার টাকার সামগ্রী, যা বিক্রি করার জন্য দোকানে মজুত করেছিলেন, তার উপরই বুলডোজার চালানো হল। কিছু বাঁচাতে পারলেন না তাঁরা। হতাশা নেমে এসেছে তাঁদের চোখেমুখে। ধ্বংসস্তূপের চারপাশে জড়ো হতেও দেখা যায় ব্যবসায়ীদের কয়েক জনকে।
অতি সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। জায়গায় জায়গায় বেআইনি দোকানপাট ভেঙে ফেলা হয়। রাতারাতি কোথাও কোথাও থেকে উঠে যেতে বলা হয় ফুটপাত ব্যবসায়ীদের। জায়গায় জায়গায় বুলডোজার নামে উচ্ছেদ অভিযানে। সেই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হলে নবান্নে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি দোকানপাট তোলার কথা বললেও, সাময়িক বিরতি ঘোষণা করেন তিনি। সময় দেন ব্যবসায়ীদের। তবে এদিন ফের বুলডোজার নামল।