ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, দত্তাবাদ : নিউটাউনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বর্ণ কামিল্যাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই তদন্তে এবার জাল গোটাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মনের ২ ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পর এবার আরও একজনকে গ্রেফতার করা হল। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে সজল সরকার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 'নিউটাউনে ব্যবসায়ীকে খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সজল', ব্যবসায়ী খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিডিওর কলকাতার গাড়ি চালক এবং বিডিও ঘনিষ্ঠ উত্তরবঙ্গের এক ঠিকাদারকে। 

Continues below advertisement

পুলিশের জালে ধরা পড়েছে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের কলকাতার গাড়ির চালক রাজু ঢালি এবং উত্তরবঙ্গের এক ঠিকাদার তুষার থাপা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এই বিডিও- র। যদিও তাঁর দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এক ব্যক্তি ওই বিডিও- র বাড়ি থেকে সোনা চুরি করেছিলেন। যিনি চুরি করেছিলেন তিনি নিজেই জানান সেই কথা। এরপর ওই ব্যক্তি চোরাই সোনা দেন স্বপন কামিল্যা নামের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের বাসিন্দা ছিলেন নিহত ব্যবসায়ী। দত্তবাদে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সোনার ব্যবসা করতেন। 

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে আনা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। যিনি চুরি করেছিলেন, আনা হয় তাঁকেও। দোকান মালিক জানিয়েছেন, তাঁকেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটের দোতলায় বেধড়ক মারধর করা হয় স্বপন কামিল্যাকে। সোনা চুরি করা ব্যক্তির উপরেও চলে অকথ্য অত্যাচার। দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে আনার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেল্ট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। একজন বাঁশ জাতীয় কিছু দিয়ে মাথায় পিছনে আঘাত করলে, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী এবং মারা যান। এরপর, নীলবাতি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যবসায়ীর দেহ। ফেলা হয় যাত্রাগাছিতে খালের ধারে। 

Continues below advertisement

রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা, এই ২ জনকে গ্রেফতারের পর জেরা করে পুলিশ জানতে পারে মঙ্গলবার খুনের ঘটনার পরের দিন বুধবার অ্যাপ ক্যাব আভড়া করে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তুফান এবং আরও একজন। অ্যাপক্যাবে তুফানের সঙ্গে বিমানবন্দরে গিয়ে বাগডোগরাগামী উড়ানে উঠেছিলেন কে? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, ঘটনার সময় ছিল ৬জন। ধৃত গাড়িচালক রাজু ঢালি  ছাড়া বাকি ৫ জনই উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা।