কলকাতা: রাজগঞ্জের বিডিওর আগাম জামিন খারিজের মামলা, হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে জেলা আদালত। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হয়েছে। পুলিশের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে কীভাবে জামিন? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, কমিশনের নজরে ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮ হাজার ৩৪০ 'অসঙ্গতিপূর্ণ' ভোটার, তালিকায় কোন কোন জেলা ?

Continues below advertisement

নিউটাউনের যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয়েছিল স্বর্ণকারের দেহ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে।খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্তেরও। স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা সজল সরকারকে।  

নিউটাউনে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ-খুনের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মনের। BDO-র আগাম জামিন মঞ্জুর করে বারাসাত আদালত। এরপর বারাসাত আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান বিধাননগর কমিশনারেট।  স্বর্ণ ব্যবসায়ীর খুনের তদন্তে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। এই ঘটনায় নাম জড়ানো জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন আগাম জামিনের আবেদন করেন। 

 ২৬ শে নভেম্বর, বারাসাত আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন,খুনের ঘটনায় BDO প্রধান অভিযুক্ত। সমস্ত তথ্য প্রমাণ BDO-র বিরুদ্ধে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে পুলিশ আধিকারিকরা একটি ভিডিও পেয়েছেন। যেখানে দেখতে পেয়েছেন BDO নিজে বেল্ট এবং জুতো দিয়ে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করছেন।ওইদিনই প্রশান্ত বর্মনের আগাম জামিন মঞ্জুর করে বারাসাত আদালত। বিধাননগর কোর্টে হাজিরা দিয়ে তাঁর আগাম জামিন নিশ্চিত করান বিডিও।এরপরই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে  হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। 

মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যা দত্তাবাদের দোকান ভাড়া নিয়ে সোনার দোকান চালাতেন। সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেই অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল নিউটাউনে। গত ২৮ অক্টোবর, দত্তাবাদ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ২টি গাড়িতে করে আসেন কয়েকজন। একটি নীল বাতি লাগানো গাড়ি ছিল বলেও খবর পুলিশ সূত্রে। এরপর ৩০ অক্টোবর, নিউটাউন থেকে স্বপন কামিল্যার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে বেধড়ক মারধর করা হয় স্বপন কামিল্যাকে। পুলিশের অনুমান, মারের চোটেই মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। এরপর গাড়িতে করে দেহ ফেলে রেখে আসা হয়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ।