ঝালদা : কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) তপন কান্দুর (Tapan Kandu) পর এবার তাঁর খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। তিনি খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। দুটি ঘটনা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মন্তব্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
এফআইআর দায়ের হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট, প্রতিবেশীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। ফরেন্সিক আধিকারিকদের আসতে বলা হয়েছে, তাঁরা এখনও আসেননি। তিনি যে ছাত্রদের পড়াতেন, তাঁদের কাছ থেকে খাতা নিয়ে হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে। আদালতে জানায় রাজ্য। ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ৬ এপ্রিল খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রধান সাক্ষী তথা প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। ফের একবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ১৩ মার্চ ঘুরতে বেরিয়ে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন বৈঞ্চব। গত বুধবার রহস্যজনকভাবে বাড়ি থেকে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও।
স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরেন। তারপর ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আত্মীয়দের দেওয়া সুইসাইড নোট অনুযায়ী, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের সাক্ষী নিরঞ্জন লিখেছেন, যেদিন তপনের (কংগ্রেস কাউন্সিলর) হত্যা হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনওরকমে বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু এই ঘটনাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বারবার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এইসব আমি আর সহ্য করতে না পারার জন্য এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম।
এই ঘটনার পর মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনাতেও CBI তদন্তের দাবি জানান মৃতের আত্মীয়রা। সেইমতো আজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।