কলকাতা : লোকসভা ভোটের মুখে জেলা জেলা থেকে আসছে আধার কার্ড বাতিলের অভিযোগ। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিলের খবর সামনে এসেছে। আধার বাতিলের জেরে ফর্ম ফিল আপ করতে পারেননি কাঁকসার কলেজ ছাত্রী। এই আবহেই uidai অর্থাৎ Unique Identification Authority of India জানিয়ে দিল, কোনও আধার কার্ড বাতিল হয়নি। যে কোনওরকম বিভ্রান্তিতে কী করতে হবে তাও জানানো হল সরকারের তরফে। 


https://uidai.gov.in/ - এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলে দেওয়া হয়েছে, আধার, সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজিটাল পরিচয় পত্র। অসংখ্য ভর্তুকি, সুবিধা এবং পরিষেবাগুলি পেতে ব্যবহৃত হয় এই আধার কার্ড। সেকথা বিবেচনা করেই, আধার ডেটাবেস যাতে নির্ভুল থাকে, তার জন্য, UIDAI নথি এবং আধার তথ্য আপডেট করার কাজ শুরু করেছিল। আধার ডেটাবেস আপডেট রাখার জন্য গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে, আধার নম্বর ধারকদের কাছে সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই প্রসঙ্গে, একথা স্পষ্ট ভাবে জানানো হচ্ছে যে, কোনও আধার নম্বর বাতিল করা হয়নি। যদি কোনও আধার নম্বর ধারকের এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকে তবে তারা এই লিঙ্কে UIDAI-এর কাছে তাদের অভিযোগ বা প্রতিক্রিয়া জমা দিতে পারেন । 

ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে -  https://uidai.gov.in/en/contact-support/feedback.html৷


এই ধরনের যে কোনও অভিযোগ থাকলে যথাযথভাবে তা সমাধান করা হবে। 


আধার বাতিল নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই বিষয়ে লাগাতার কেন্দ্রর উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন। বলেছেন, 'রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে'। 


যদিও এই অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপি শিবির থেকে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'আধার কার্ডের রাঁচি আঞ্চলিক দফতরের ভুলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে', পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, 'সব থেকে বেশি মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে। সব জেলায় আধার কার্ড বাতিল করে দিচ্ছে। ইচ্ছে মতো আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। 'বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, এখানে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না'। এই আবহেই কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর  আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, 'যাঁদের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে, তাঁদের জন্য আলাদা ই মেল আইডি, হোয়াটস অ্যাপ নম্বর, আলাদা অ্যাক্টিভেশন ফর্ম দেওয়া হবে, ফর্ম ফিল-আপ করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেই হবে।'   


এদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'যাঁদের নাম কেটে দিয়েছে, তাঁদের আমরা আলাদা কার্ড দেব'। এই পরিস্থিতিতে এখন সমাধানের পথ খুঁজছে সাধারণ মানুষ। 



আরও পড়ুন: অদম্য জেদ ! রবিবার মা হয়েই সোমবার উচ্চমাধ্যমিক দিলেন নাজমা