পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: জঙ্গলমহলে (Junglemahal) মাওবাদী (Maoist) নেই। বাঁকুড়ার (Bankura) রানিবাঁধের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। যদিও এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।
মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গত দু’তিনদিনে তত্পরতা বেড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। বিভিন্ন রাস্তায় চলছে নাকা তল্লাশি। গভীর জঙ্গলে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী।
সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ শাসকদলের ৫ জন নেতা বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। এই যখন অবস্থা, তখন রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোত্স্না মান্ডি চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। তাঁর দাবি, জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই।
আরও পড়ুন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে, ১ বছরের মধ্যে সিঙ্গুরে হবে শিল্প, ঘোষণা সুকান্তের
সেইসঙ্গে মন্ত্রীর অভিযোগ, অশান্তি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। খাদ্য সরবরাহ দফতর প্রতিমন্ত্রী জ্যোত্স্না মান্ডি, "জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই। বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় তারা অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে।" সোনামুখী বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, "বিজেপি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে ওরা ধরছে না কেন? ওদের মুখ্যমন্ত্রী, ওদের পুলিশ। তাহলে গ্রেফতার করুক।"
জঙ্গলমহলে মাওবাদী না থাকলে কেন তৃণমূল নেতারা বাড়তি নিরাপত্তা চাইছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী। খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বলেন, "ওঁদের একজন করে রক্ষী আছেন। তাঁদের ছুটিছাটা আছে। তাই বাড়তি রক্ষী চেয়েছেন।"
সোনামুখির বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, "আসলে তৃণমূল নেতারা গরিব মানুষকে লুট করেছে। মানুষ ক্ষেপে আছে। সেই আশঙ্কা থেকে ওঁরা বাড়তি নিরাপত্তা চাইছেন....তৃণমূলের মন্ত্রী দাবি করছেন, জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই ঠিকই...তবে পুলিশ হোক কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী...তাদের তত্পরতা কিন্তু তুঙ্গে।