রুমা পাল, ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও আবির ইসলাম, কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করা মামলায় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এর আগে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, উপাচার্যর বাড়ির বাইরে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) মধ্যে ধর্না চলবে না।সেই নির্দেশই বহাল রাখলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আলাদা কিছু বলার থাকলে নতুন করে জনস্বার্থ মামলা করুন। মন্তব্য বিচারপতির। ৩ সপ্তাহ পর শুনানি। 


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধর্না চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Rajsekhar Mantha) নির্দেশকে বহাল রেখে সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রেজিস্ট্রারের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর,ভাঙা হল পড়ুয়াদের ধর্নামঞ্চ


কবিগুরুর তৈরি করে যাওয়া শান্তিনিকেতনে এখন অশান্ত। চলছে লাগাতার আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দাবিতে, কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)  মামলা করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মামলার শুনানিতে, সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, উপাচার্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না। 


আন্দোলনের জেরে কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়, এমন কিছু হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালতে রাজ্যের তরফে বলা হয়, উপাচার্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ১৩ জন পুলিশকর্মী দেওয়া হয়েছে। 


তখন বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, কত জন পুলিশ দেওয়া হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, তারা কতটা সৎভাবে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে প্রস্তুত সেটাই বড় কথা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত মামলার নথিতে কীভাবে রেজিস্ট্রারের সই থাকতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আদালতে।


বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ব্যক্তিগত মামলার নথিতে কীভাবে রেজিস্ট্রারের সই থাকতে পারে? নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ দিকে, আন্দোলনকারীদের দাবি, আদালতের রায় মেনে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস থেকে ৫০ মিটার দূরে প্রতিবাদ মঞ্চে আন্দোলন চলছে। 


আন্দোলনকারী পড়ুয়া সায়ন সরকারের কথায়, ২৬ দিনে পড়ল। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ৩ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। তার আগে রাজ্য ও মামলার অন্যান্যদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: 'রাজ্যকে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত জানাতে হবে, তার পরই বদলির নির্দেশ', কড়া বার্তা বিচারপতির