ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, বাগুইআটি : বাগুইআটিতে (Baguiati) অপহরণের (Kidnap) পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল। বাসন্তীরই দুই পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ ২ জন এখনও ফেরার। পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়। 


গত ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্‍পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও পুলিশ তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন ; বাগুইআটিতে বধূকে ছাদ থেকে ফেলে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী


কিন্তু, কী বলছে পুলিশ ?


পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবারের তরফে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিষেক ও অতনুর নিখোঁজের পেছনে থাকতে পারে প্রতিবেশী সত্যেন্দ্র চৌধুরী। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই সময়ের মধ্যে অভিযোগকারী ২-৩টি এসএমএস এবং ফোন কল পান। যেখানে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়। গতকাল খবরের ভিত্তিতে অভিজিৎ বোস নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘক্ষণ পুলিশি জেরায় সে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করে নেয়, ২২ তারিখে সে, সত্যেন্দ্র এবং আরও ২-৩জন মিলে ওই দুই কিশোরকে গাড়ির মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছে। বাসন্তী হাইওয়ের ওপর কোনও একটা জায়গায়। তখন রাত ৯টা থেকে ১০টা। তারপর বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে আরও একটু এগিয়ে ক্যানেলের দুটি পৃথক জায়গায় মৃতদেহ দুটি ফেলে দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশের তরফে কলকাতা, বারুইপুর, বসিরহাট সব জায়গায় খোঁজখবর শুরু হয় কোথাও শনাক্তকরণ না হওয়া মৃতদেহ রয়েছে কি না। বসিরহার্টে মর্গে ৩টি মৃতদেহ পাওয়া যায় যেগুলির শনাক্তকরণ হয়নি। বডিগুলি শনাক্তকরণের জন্য অতনু ও অভিষেকের বাড়ির লোকজনকে পাঠানো হয়। তার মধ্যে ইতিমধ্যে অতনুর বাড়ির লোকজন অতনুকে শনাক্ত করেছেন।