সমীরণ পাল, গুমা : উত্তর ২৪ পরগনার গুমায় পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুনে অভিযুক্তের বাড়ির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। প্রধান অভিযুক্ত গৌতম দাসের বাড়িতে পুলিশের সামনে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধরা। কিছুক্ষণ আগে নিবেদিতা পল্লিতে উত্তেজনা ছড়ায়। উপপ্রধান খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পলাশ শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বাড়ির ঠিক কাছে কাঠের ভূষি বিক্রি করছিলেন একজন। সেই কাঠের ভূষি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তারপরেই উত্তেজিত বাসিন্দারা ওই এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার পাশাপাশি পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, গুমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের উপ প্রধান বিজন দাস এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। অনৈতি কাজকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে খুন হতে হল। অথচ প্রধান অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হল না। সেই দাবিতে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। এরপর অবরোধ উঠলেও, গৌতম দাসের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চালানো হয়।
দিনকয়েক আগেই গুমাতে তৃণমূলের উপপ্রধানকে গুলি করে খুন করা হয়। গুমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাসকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন বচসার জেরে গুলি করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত গৌতম দাসের সঙ্গে বিজন দাসের পুরনো শত্রুতা ছিল। বিজন গুমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। পাল্টা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত গৌতম দাস জমি কেনাবেচার সিন্ডিকেটে যুক্ত। ২০১৮-য় ধর্ষণ-মামলায় গ্রেফতারও হন। অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল উপপ্রধানের শত্রুতা ছিল।
অভিযোগ, ঘটনার রাতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা হয় অভিযুক্তের। দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েও, ফিরে এসে তৃণমূল উপপ্রধানকে গুলি করে পালিয়ে যান গৌতম। এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে অশোকনগর থানার পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে