সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্বরূপনগর (Swarupnagar) ও বসিরহাট (Bashirhat) সীমান্ত (India Bangladesh Border) থেকে চোরাপথে ভারতে (India) ঢোকার সময়ে আট বাংলাদেশিকে (Bangladesh) গ্রেফতার করল বিএসএফ। আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশের স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার সময়ে সাত বাংলাদেশীকে গ্রেফতারের খবর মিলেছে।
জানা গিয়েছে, বসিরহাট ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে ঢোকার সময়ে বিএসএফ তাদের তাড়া করলে বাকিরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে গেলেও এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করে ফেলে বিএসএফ। পাশাপাশি স্বরূপনগর ও বসিরহাট সীমান্ত থেকে আট বাংলাদেশিকে বিএসএফ পুলিসের হাতে তুলে দিলে পুলিস তাদের গ্রেফতার করে। আজই আট বাংলাদেশিকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Municipal Election: নজরে মহিলা ভোট, শিলিগুড়ির পুরভোটে বামেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে মহিলাদের গুরুত্ব
কিছুদিন আগে নাকা চেকিংয়ের সময় গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের একাধিক নাগরিককে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ বাংলাদেশের ৫ নাগরিককে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ির মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। কাজের সন্ধানে তারা ভারতে ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ধৃতদের নাম- লিটন শেখ, হৃদয় শেখ, যুবাইদুল শিকদার, আনারুণ মিঞা, পারভিন বেগম।
ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের খারিজা বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দাস পাড়া মোড় থেকে ধরা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের নারালি জেলায়। পাচারকারীদের সহযোগিতায় তারা বুড়ির জোত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ আউটপোস্টের পুলিশ নাকা চেকিং করে ৫ জনকে ধরে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসে করে আসছিল। হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়িগামী NBSTC বাসে করে শিলিগুড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipality Vote) আগে পুলিশের (Kolkata Police) জালে ধরা পড়ে লখনউ (Lucknow) এটিএএসের তালিকায় থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড বাংলাদেশি (Banglades)। অনুপ্রেবেশের অভিযোগে আটক হয় আরও ২০ জন বাংলাদেশের নাগরিক। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ জাল নথি। ঘটনায় জঙ্গি-যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ প্রচুর নথি। ঘটনায় রয়েছে কি জঙ্গি-যোগ? খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।