সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা চলছে গোটা দেশজুড়ে। এবার ব্যারাকপুরের (Barrackpore) চিড়িয়া মোড়ে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত। এদিন টিটাগড় (Titagrh) থেকে মিছিল করে মহকুমাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে যান তাঁরা। ব্যারাকপুর চিড়িয়া মোড়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন।


 সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath)-এর বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসন। সমস্ত জেলা প্রশাসন ও পুলিশকর্তাদের (Police) সতর্ক থাকার কথা বলে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। 


রাজ্যজুড়ে সতর্কবার্তা


পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে কলকাতা পুলিশও (Kolkata Police)। রাজ্য সরকারি অফিস রয়েছে এমন ৪৩ জায়গায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনী। ৫৮টি জায়গায় থাকছে পিসিআর ভ্যান। প্রতি ডিভিশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বা জয়েন্ট সিপি। সব মেট্রো স্টেশনের সামনে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন রেল স্টেশনের বাইরে মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী।  









অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড সরকার আগামীকাল রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্যজুড়ে হাইঅ্যালার্ট জারি হয়েছে পাঞ্জাবে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে হরিয়ানায়। 


সেনায় নিয়োগের স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে অশান্তি চলছে আসছে দেশের একাধিক রাজ্যে। বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। ট্রেনে আগুন ধরানো থেকে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, কিছুই বাদ যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রকল্পে একাধিক রদবদল ঘটানো হয় কেন্দ্রের তরফে। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২৩ বছর। এ ছাড়াও অসম রাইফেলস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ‘অগ্নিবীর’দের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও কার হয়। যদিও সেনা জানিয়েছে, বিক্ষোভের জেরে চাপের মুখে পড়ে নয়, আগে থেকেই ছাড় দেওয়ার কথা ভেবে রাখা হয়েছিল। তবে ছাড় দিলেও, প্রকল্প প্রত্যাহারের প্রশ্ন ওঠে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।