সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali Tension), এবার বিক্ষোভ জেলিয়াখালিতে। ধৃত শিবু হাজরার অনুগামীদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। জেলিয়াখালিতে মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। 


বিক্ষোভ কেন?
এই মুহূর্তে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার জেলে রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, এর মধ্যেই শিবু হাজরার অনুগামীরা হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে, মিছিল করলেন জেলিয়াখালির বাসিন্দাদের একাংশ। জমি দখল থেকে নারী নির্যাতনের মতো একের পর এক গুরুতর অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে তোলপাড় সন্দেশখালি। আঙুল ওঠে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার দিকেও। অভিযোগ সত্ত্বেও গ্রেফতারি হচ্ছে না, এই নিয়ে দিকে দিকে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শিবু হাজরার নামে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত হওয়ার পরই গ্রেফতার হয় সে। বহিরাগত ভাড়া করে আনার যে তত্ত্ব তৃণমূল দিয়েছিল, তা খারিজ করে পুলিশ। শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা আনা হয়। এর ঠিক পর পরই ন্যাজাট থেকে গ্রেফতার হয় সন্দেশখালির ব্লক তৃণমূল সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু হাজরা। সন্দেশখালিকাণ্ডের ২০ নম্বর মামলায়,এক মহিলা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তাঁর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
এর পর গ্রেফতার হয়েছে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানও। কিন্তু তার পরও ছবিটা বদলাচ্ছে না, অভিযোগ জেলিয়াখালির প্রতিবাদীদের। শিবু হাজরার অনুগামীদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে এদিন প্রতিবাদ জানান তাঁরা।  

ফিরে দেখা...
সন্দেশখালিতে অশান্তির সূত্রপাত গত ৫ জানুয়ারি। রেশন দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে এসেছিলেন ইডি অফিসাররা। অভিযোগ, সেই সময়ে তদন্তকারীদের উপর চড়াও হয় শাহজাহান-অনুগামীরা। বেধড়ক মারধর করে এলাকাছাড়া করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে, রেয়াৎ পাননি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। তার পর থেকে টানা অশান্ত সন্দেশখালি।সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যাচারের একাধিক অভিযোগে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে এলাকায়। প্রতিরোধে পথে নেমেছেন এলাকার মহিলারাও। জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে ধর্ষণের মতো একাধিক অভিযোগ শুনে শিউরে উঠেছেন রাজ্য তথা দেশের মানুষ। মাঝে শিবু হাজরা-উত্তম সর্দারদের গ্রেফতারি হলেও শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে ৫৬ দিন সময় লেগে যায়। কবে মিলবে ন্যায়বিচার? কবে স্থিতাবস্থা ফিরবে সন্দেশখালিতে? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।


আরও পড়ুন:ED, CBI, আদালত সঙ্গে রয়েছে, তাও বকেয়ার হিসেব দেওয়ার ক্ষমতা নেই BJP-র: অভিষেক