সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: প্রতারণা তো আগেও বহুবার, তবে এবার লুঠের পর, পুলিশি তৎপরতায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বাসিন্দা। বড়সড় সাফল্য আমডাঙ্গা থানার পুলিশের।


 এক গৃহবধূর খোয়া যাওয়া ছ'লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩২ টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল আমডাঙ্গা থানার পুলিশ। বারাসাত পুলিশ, জেলায় এই প্রথম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া এতগুলি টাকা উদ্ধার করে নজির গড়ল আমডাঙ্গা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ তারিখ লোন দেওয়ার নাম করে এক ব্যাক্তি রমিচা খাতুন নামে এক মহিলাকে ভুল বুঝিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার নিয়ে নেয়।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই রমিচা খাতুনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৩২ টাকা তুলে নেয়।এতগুলো টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উঠে যাওয়ার পরে মাথায় চাল ভেঙে পড়ে রমিচা খাতুনের। তিনি একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। এরপর তিনি  আমডাঙা থানার গিয়ে  একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আমডাঙ্গা থানার পুলিশ।


 আমডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজকুমার দেবনাথ এর নেতৃত্বে তিনজনের একটি দল গঠন করা হয়। যার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজকুমার দেবনাথ নিজে এবং সাথে ছিলেন হিমাদ্রি ডোগরা ও এসআই আসিফ মন্ডল এই তিনজন পুলিশ আধিকারিকের তৎপরতায় প্রায় ১২ দিনের মাথায় উদ্ধার হয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে খোয়া যাওয়া ৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩২২ টাকা। পুরো টাকা উদ্ধার করে রমিচা খাতুনের হাতে তুলে দেয় আমডাঙ্গা থানার পুলিশ। খোয়া যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে খুশি রমিচা খাতুন।


অতীতে কল সেন্টারের নামেও একাধিকবার প্রতারণার ফাঁদ প্রকাশ্য়ে এসেছে। গতবছরের শেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর মল্লিকপুরের কাছে নতুন পাড়ায় একটি অফিস চালাচ্ছিল ওই প্রতারকদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সম্প্রতি এই কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে।


আরও পড়ুন, 'দুধের ছেলেকে কেউ পাত্তা দেয় ?..' দিলীপের নিশানায় কে ?


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর মল্লিকপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল হানা দেয় এক ভুয়ো কল সেন্টারে। ঘটনাটি ঘটেছে কল সেন্টারে নামে মানুষকে প্রতারণা করার ফাঁদ পাতা হত। সেখানে অভিযান চালিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে বারুইপুর মল্লিকপুর পুলিশ ক্যাম্পের এস আই।