বিধাননগর : কোথাও অন্যের ভোটার স্লিপ হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আরেক জন, কোথাও আবার ভুয়ো ভোটার বাথরুমে লুকিয়ে থাকার অভিযোগ। নানারকম ঘটনায় বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ছড়াল দফায় দফায় উত্তেজনা। এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধিদের ক্যামেরায় উঠে আসছে একের পর এক অভিযোগ। 



বিধাননগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক বৃদ্ধাকে নিয়ে ভোট দিতে এলেন এক মহিলা। কেউ বয়স্কদের সঙ্গে নিয়ে বুথে পৌঁছে দিতে যেতেই পারেন ! তবে এক্কেবারে ইভিএম অবধি ? দেখা গেল, এক বৃদ্ধাকে নিয়ে ভোট দিতে চলে গেলেন এক মহিলা। বৃদ্ধা নিজে মুখে নাম বললেন দেবীরানি সরকার। পাশের মহিলা কে, তিনি নিজেই বললেন তিনি বৌমা ! অথচ কী আশ্চর্য, বৌমা বলে দাবি করা মহিলার নামই বলতে পারলেন না তিনি। বৌমা নিজেই পরিচয় দিলেন। বৃদ্ধার পরিচয় দিলেন খুড়শাশুড়ি বলে। য়দিও এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে প্রিসাইডিং অফিসাররা। বিধাননগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের ঘটনা এটি। 

আরও পড়ুন :


মুখে বলছেন রঞ্জিত দাস, ভোটার দেবাশিস ঘোষ, এবিপি আনন্দ-র ক্যামেরাবন্দি 'ভুয়ো ভোটার'



অন্যদিকে বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের BF ব্লকে মৌলানা আজাদ কলেজের বুথে শৌচাগারে ঢুকে পড়েন ভুয়ো ভোটার। ' সুইমিং পুলে টয়লেট করতে এসেছি ' , দাবি ভুয়ো ভোটারের। এক পুলিশ কর্মী ওই ব্যক্তিকে ধরলেও হাত ছাড়িয়ে ছুটে পালান তিনি। আবার বিধানগরের CF ব্লকে ভোটের লাইনে কার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ভুয়ো ভোটার, নিজের নাম বললেও বাবার নাম বলতে পারলেন না ! 

কিন্তু হঠাৎ বিধাননগরে এত ভুয়ো ভোটার কেন ! বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারণা, সল্টলেকে বহু ভোটার এখন সেখানে থাকেন না। রাজ্যের বাইরে, দেশের বাইরে থাকা ভোটার অনেক। সেই জন্যই হয় ভুয়ো ভোটারদের সংখ্যা বাড়ছে, মত অনেকের। 

বিধাননগরে ভোট হচ্ছে ৪১টি ওয়ার্ডে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার স্বার্থে গোটা বিধানগর পুর-এলাকাকে ৪৮টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ।