সঞ্চয়ন মিত্র, বিধাননগর : দিকে দিকে অনভিপ্রেত ছবি। বিধাননগরের কোথাও বাথরুমে লুকিয়ে ভুয়ো ভোটার। তো কোথাও লাইনে দাঁড়িয়ে বাড়ির ঠিকানাই বলতে পারছেন না কেউ। কারও নাম মিলছে না ভোটার স্লিপের নামের সঙ্গে। কোথাও আবার ওয়ার্ডে বৃদ্ধাকে ভোট দিতে সাহায্য বৌমার। পরিচয় জানেন না শাশুড়িই।  ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে কার্ড হাতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে বাবার নাম বলতে হোঁচট।


 বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের BF ব্লকে ঘটা ঘটনার ভিডিও সিনেমাকেও হার মানায়। মৌলানা আজাদ কলেজের বুথে শৌচাগারে ঢুকে পড়লেন ভুয়ো ভোটার।  জিগ্যেস করতেই ফাঁপরে পড়লেন। কোনওক্রমে জবাব দিলেন সুইমিং পুলে শৌচকাজ করতে এসেছি !!  এক পুলিশ কর্মী ওই ব্যক্তিকে ধরলেও হাত ছাড়িয়ে ছুটে পালান তিনি। BJP  প্রার্থী দেবাশিস জানা এসে যখন লম্বা লাইনের অনেককে প্রশ্ন করেন, দেখতে পান বেশিরভাগের ভোটার আই-কার্ডই নেই। তাঁকে দেখে নাকি লাইন ফাঁকা হয়ে যায়। এমনটাই দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী। তবে বাথরুমের মধ্যে ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ার ঘটনাটি ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরাতেই। 


 




বিধাননগরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে FD ব্লকের এটিআই-এর বুথে ভুয়ো ভোটার ধরলেন বিজেপি প্রার্থী মলি পাল। লাইন থেকে বের করে দেওয়ার সময় ভুয়ো ভোটারের দাবি, মর্নিং ওয়াক করতে এসেছি । 


বিধাননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কৈখালি এলাকায় তৃণমূল ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে মারামারি। বহিরাগতদের এনে ভোট দেওয়ানো হচ্ছে, বাধা দিলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সিপিএম প্রার্থী আজহারউদ্দিনের। কিছুক্ষণের রাস্তা অবরোধও হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


বিধাননগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে এক বৃদ্ধাকে নিয়ে ভোট দিচ্ছেন এক মহিলা। বৃদ্ধার নাম দেবীরানি সরকার। পাশে দাঁড়ানো বৌমার নাম বলতে পারছেন না। বৌমা নিজেই পরিচয় দিলেন। বৃদ্ধার পরিচয় দিলেন খুড়শাশুড়ি বলে। ঘটনার কথা অস্বীকার প্রিসাইডিং অফিসারের।