সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: রহড়ায় (Rahara) কৌটোবোমা বিস্ফোরণে (bomb blast) কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায়, থানা লাগোয়া এলাকা খতিয়ে দেখল CID-র বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড (Bomb Disposal Squad)। অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে নিহত কিশোরের বাবা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ (Police)।
কৌটোবোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু, ঘটনায় চাঞ্চল্য
খাস থানার পিছনে ঝোপের মধ্যে কে রেখেছিল কৌটো বন্দি বিস্ফোরক? উত্তর ২৪ পরগনার রহড়ায় কৌটোবোমা বিস্ফোরণে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে এমনই প্রশ্ন।
রুইয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ দাবি করেন, শনিবার সকালে রহড়া থানার পিছনে ঝোপ থেকে একটি কৌটো কুড়িয়ে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। ১৭ বছরের নাতি শেখ সাহিল ওই কৌটো খুলতে গেলে বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়।
রহড়া থানার পিছনে কি তাহলে আরও বিস্ফোরক মজুত আছে? রবিবার সিআইডি-র বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড থানা লাগোয়া জায়গা ঘুরে দেখেন। নিহত কিশোরের দাদু যেখানে কৌটো কুড়িয়ে পাওয়ার দাবি করেছিলেন, সেই জায়গাটিও খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ঘোলা থানার এসিপি তনয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বম্ব স্কোয়াড এসেছিল। কিছু পাওয়া যায়নি।'
শনিবার বিস্ফোরণের পর শেখ সাহিলকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত কিশোরের বাবার অভিযোগ, যখন তিনি পুত্রশোকে কাতর, সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধেই বোমা বাঁধার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Nadia News: অন্ধকার পুকুরপাড়ে কলাগাছের ঝোপের আড়ালে কী ওটা? আতঙ্ক নদিয়ায়
নিহত কিশোরের বাবা শেখ আবুলের অভিযোগ, 'কাল যখন আমার ছেলে হাসপাতালে মারা যায়, তখন পুলিশ গিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে বোমা কবে থেকে বাঁধছিস। আমি অবাক হয়ে যাই। আমার ছেলে মারা গিয়েছে। আর পুলিশ এই কথা বলছে।'
যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহত কিশোরের বাবার অভিযোগ ভিত্তিহীন।